প্রয়াগরাজ, 16 জুন: আজকের দিনটা বাবাদের জন্য ৷ তবে, আলাদা করে হয়তো জন্মদাতার কোনও দিন হয় না ৷ কিন্তু সমাজে কিছু কিছু দিন উদযাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয় ৷ আর তা উদযাপনেও মেতে ওঠেন সন্তানরা ৷ রবিবার যখন চারিদিক হ্যাপি ফাদার্স-ডে বলতে সন্তানরা ব্যস্ত, তখনই 'এক সন্তান' হারাল তার বাবাকে ৷ মৃত্যুর কারণটা যখন সে জানাল তাতে যেন আকাশ ভেঙে পড়ল ওই নাবালকের মাথায় ৷ হ্যাপি ফাদার্স-ডে বলার আগেই বাবার সুইসাইড নোটে জানল সে সবটা ৷ হয়তো সামনে থাকলে এমনটা হত না ৷ কী ঘটল এদিন? নীচে রইল বিস্তারিত...
উত্তরপ্রদেশের প্রয়োগরাজের জেলার নৈনীতে আর্থিক অনটনে সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা ৷ সুইসাইড নোটে ছেলের উদ্দেশে লিখে গিয়েছেন তাঁর মৃত্যু কারণ ও শেষ ইচ্ছা ৷ নিজের সমস্যা ও হতাশার বর্ণনা রয়েছে বাবার লেখা সুইসাইড নোটে ৷ তাতে বাবা লিখেছেন, "এখন আমার কিছু বলার নেই, আর সহ্য করতে পারছি না ৷ নিজেকে শেষ করছি ৷"
এরপর নাবালক সন্তানের উদ্দেশে লেখা, "আমি আমার সমস্যার কাছে হেরে গিয়েছি। আমি তোমাকে এভাবে কষ্ট দিতে পারছি না, তাই আমি আত্মহত্যা করছি ৷ তুমি আর অনামিকা (স্ত্রী) নিজের খেয়াল রেখো ৷ আমার শেষকৃত্য করার দরকার নেই ৷ যেখানে ইচ্ছা আমায় ফেলে দিও ৷ তোমাকে আমি ভালোবাসি ৷"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার এই ঘটনার সময় তাঁর স্ত্রী ও ছেলে দিদার বাড়ি গিয়েছিলেন ৷ নৈনীর পরিদর্শক যশপাল সিং জানিয়েছেন, চক্রঘুনাথ নৈনীর বাসিন্দা সঞ্জয় সাক্সেনা ৷ তিনি একটি এনজিও'র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্ত্রী, অনামিকা একজন গৃহবধূ ৷ শনিবার স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে দিদার বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন সঞ্জয়। রবিবার সকালে অনামিকা ও ছেলে বাড়ি ফিরলে সঞ্জয়কে মৃত অবস্থায় দেখতে পান ৷ এমনটা দেখে দু'জনেই জ্ঞান হারান। প্রতিবেশীরা খবর দেন পুলিশে ৷ পুলিশ এলে উদ্ধার হয় সঞ্জয়বাবুর সুইসাইড নোট ৷ পরিবারের সদস্যরা এর কারণ না-জানতে পারলেও পুলিশি তদন্তে আর্থিক সমস্যার কথা জানা গিয়েছে ।
আর্থিক সংকটের বিষয়টি সামনে এলেও পরিবারের সদস্যরা এমনটা মানতে নারাজ ৷ পুলিশ স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারে, সঞ্জয়ের কাছে কোনও কাজ ছিল না। তাই তাঁকে সবসময় চিন্তিত দেখাত। বর্তমানে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ৷ পরবর্তী তদন্ত জারি রয়েছে ৷