নয়াদিল্লি, 11 মার্চ: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিশদ তথ্য জানানোর জন্য আরও সময় চেয়ে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া যে আবেদন করেছিল, তা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ সোমবার শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ কাজের সময় বন্ধ করে 12 মার্চ অর্থাৎ আগামিকাল নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত বিশদ তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে ৷ ব্যাংক যে তথ্য দেবে তা 15 মার্চ বিকেল 5টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ।
সোমবার শুনানির সময় এসবিআইয়ের পক্ষে উপস্থিত শীর্ষ আইনজীবী হরীশ সালভে বলেন যে, বিশদ তথ্য সংগ্রহ এবং তা মিলিয়ে দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন ছিল । তিনি আরও বলেন যে, যদি ম্যাচিং-এর কাজটা শেষ করতে হয় তবে এসবিআই তিন সপ্তাহের মধ্যে এই কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারে ।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই, জেবি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে যে, আদালত এসবিআইকে অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে দাতা এবং দানগ্রহণকারীদের বিবরণ মেলাতে নির্দেশ দেয়নি । এসবিআইকে শুধু সিল করা কভার খুলতে হবে, বিশদ সংগ্রহ করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনকে তথ্য দিতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ 15 ফেব্রুয়ারির রায়ে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশাবলী মেনে চলার জন্য ব্যাংক কী পদক্ষেপ করেছে, তাও জানতে চায় শীর্ষ আদালত । বেঞ্চ বলে, "গত 26 দিনে আপনি কী পদক্ষেপ করেছেন ? আপনার আবেদনে সে বিষয়ে কিছু বলা নেই ৷" আদালতের রায় অনুসারে এসবিআইকে এ দিন স্বাভাবিক ভাবে তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয়েছে ৷
15 ফেব্রুয়ারি দেওয়া যুগান্তকারী রায়ে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প বাতিল করে দেয় ৷ এই প্রকল্পে বেনামী রাজনৈতিক অর্থায়নের অনুমতি ছিল ৷ যদিও এই প্রকল্পকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করে, 13 মার্চের মধ্যে দাতাদের নাম, প্রাপকদের নাম, অনুদানের পরিমাণ প্রকাশ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত ৷ এসবিআই এই প্রকল্পটি বাতিল করার আগে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিটি নির্বাচনী বন্ডের বিশদ প্রকাশের জন্য 30 জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল ৷ সেটাই এ দিন খারিজ হয়ে যায় ৷ একটি পৃথক আবেদনে এসবিআই-এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার পদক্ষেপ করার জন্য আবেদনেরও শুনানি হয় ওই বেঞ্চে ৷
আরও পড়ুন: