মান্ডি (হিমাচল প্রদেশ), 25 জুলাই: চাপে কঙ্গনা রানাওয়াত ? মান্ডির বিজেপি সাংসদকে নোটিশ পাঠাল হাইকোর্ট ৷ অভিযোগ, কঙ্গনা যেভাবে মান্ডি থেকে জিতেছেন, তা সঠিক নয় ৷ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগও উঠেছে ৷ 21 অগস্টের মধ্যে কঙ্গনাকে জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি জ্যোৎস্না রেওয়াল ৷
কী হয়েছে ?
বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ‘কুইন’ অভিনেত্রী ৷ প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংকে 74,755 ভোটে পরাজিত করে তিনি সংসদে গিয়েছেন ৷ 5,37,002টি ভোট পেয়েছিলেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ ৷
কঙ্গনার এই জয়কেই চ্যালেঞ্জ করেছেন লায়াকরাম নেগি । হিমাচল প্রদেশের হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তিনি ৷ আদালতে নেগি জানিয়েছেন, নির্দল প্রার্থী হিসেবে মান্ডি থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি । যদিও রিটার্নিং অফিসার (মান্ডির ডেপুটি কমিশনার) তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দেন ৷ এখানেই সমস্যা নেগির ৷ তাঁর দাবি, অবৈধভাবে মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ৷ সেকারণেই হাইকোর্টের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছেন, মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়াই যেন বাতিল করে দেওয়া হয় ৷
তাঁর দাবি, তিনি বন বিভাগের একজন প্রাক্তন কর্মচারী ৷ স্বেচ্ছাবসরের পর ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন ৷ রিটার্নিং অফিসার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় ‘বকেয়া শংসাপত্র’গুলি তৈরি রাখতে বলেছিলেন । বিদ্যুৎ, জল ও টেলিফোন বিভাগ থেকে ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’ দাখিল করার জন্য একদিন সময় দেওয়া হয়েছিল ৷ তিনি সেগুলি জমা দিলেও রিটার্নিং অফিসার তা গ্রহণ করেননি এবং মনোনয়নপত্র বাতিল করেন । তিনি আদালতে জানিয়েছেন, কাগজপত্র গ্রহণ করা হলে তিনি নির্বাচনে জয়লাভও করতে পারতেন ।