পটনা, 16 ফেব্রুয়ারি: দু'জনেরই আস্থা সমাজবাদে। দু'জনেরই গুরুকুল এক। দু'জনেরই রাজনীতির শুরুটাও একইরকম। সাতের দশকের বিহারের দুই দাপটে ছাত্রনেতা নীতীশ কুমার আর লালুপ্রসাদ যাদবের রাজনীতির রাস্তা আলাদা হয় নয়ের দশকে। এরপর তাঁরা ছিলেন বিহারের রাজনীতির দুই সমান্তরাল নদী। কখনও এক ধারায় বয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেননি। 2015 সালে এসে বদলায় পরিস্থিতি। এবপর নীতীশ আর রাহুল একে অপরের হাত ধরেছেন একাধিকবার। সরকার গড়েছেন। নীতীশ সরকার ভেঙেছেন। লালু তাঁকে 'পালটুরাম' বলেছেন। এবার সেই লালুই বললেন, "নীতীশের জন্য দরজা সবসময় খোলা"
মাত্র কয়েকসপ্তাহ আগে ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে এনডিএ-তে ফিরে যাওয়া নীতীশকে নিয়ে লালু যা বললেন তাঁর রাজনৈতিক অভিঘাত গভীর বললেও কম বলা হয়। সরকার ভাঙার পর ছেলে তেজস্বী লাগাতার বলে আসছেন, লোকসভা নির্বাচনে নীতীশের দল জেডিইউকে বারবার অবস্থান বদলানোর শিক্ষা দিয়ে দেবেন বিহারের ভোটারার। তবে বাবা লালুর মুখে শোনা গেল অন্য কথা।
রাজ্যসভার নির্বাচন হবে 27 তারিখ। তার আগে 15টি রাজ্যে চলছে মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনের নিয়মিত কাজকর্ম। বিহার থেকে আরজেডির হয়ে প্রার্থী হয়েছেন মনোজ ঝা এবং সঞ্জয় যাদব। তারা মনোনয়ন জমা দেন বিহার বিধানসভায় গিয়ে। সেখানে হাজির ছিলেন লালু। আর ঠিক তখনই দেখা হল লালু-নীতীশের। সৌজন্য বিনিময়ও হল।
সরকার ভাঙার পর থেকে দু'জনকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। উলটে বিধানসভা আস্থা ভোট চলাকালীন নীতীশকে যেভাবে তেজস্বী আক্রমণ করেছেন তা নিয়েই চর্চা হচ্ছে। এমনই আবহে লালু-নীতীশের দেখা হল। পরে সাংবাদিকদের ইউপিএর প্রথম সরকারের রেলমন্ত্রী লালু বললেন,"নীতীশের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা। উনি আসবেন কি না সেটা ওঁর ব্যাপার।"
আবারও লালুদের কাছে ফিরে যাওয়া নিয়ে নীতীশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ডেপুটি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সম্রাট চৌধুরি বলেন, "লালু কী বলছেন তাতে কিছু যায় আসে না ৷ নীতীশ ফিরে যাবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত তাঁর।" নীতীশ প্রতিক্রিয়া না দিলেও সাংবাদিকদেকর সঙ্গে কথা বলেন জেডিইউ-র বিধান পরিষদের সদস্য নীরাজ কুমার বলেন, "লালুর হয়তো মনে নেই তাঁর দরজার বাইরে বড় তালা লাগানো আছে। লালুর দল দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। তাঁদের কাছে ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
আরও পড়ুন: