রাজস্থান, 8 সেপ্টেম্বর: কয়েক বছর ধরে যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন 70 বছরের বৃদ্ধ ৷ পেশায় কৃষক ওই ব্যক্তি চিকিৎসাও করান ৷ তাতে কাজের কাদজ হয়নি। সম্প্রতি তিনি রাজস্থানের কোটার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান ৷ সেখানে তাঁর গলব্লাডারে অস্ত্রোপচার করতেই চিকিৎসকদের চক্ষু চড়কগাছ ৷ উদ্ধার হয় 6 হাজারেরও বেশি পাথর ৷
রাজস্থানের কোটার ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক চিকিৎসক দীনেশ জিন্দাল তাঁর অপারেশন করেন। তিনি বলেন, "অস্ত্রোপচারে 30 মিনিট সময় লাগলেও পাথর গুনতে আড়াই ঘণ্টা লেগেছে। রোগীর কয়েক বছর ধরে পেটে ব্যথা করত ৷ বমিও হত ৷ কিন্তু বেশ কয়েকবার ডাক্তার দেখিয়েও কোনও কিছুই হয়নি ৷ গত সপ্তাহে, তিনি কোটা থেকে 100 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আমাদের হাসপাতালে আসবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন ৷ তারপর এখানে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার হয় ৷"
তিনি আরও বলেন, "রোগীর সোনোগ্রাফি থেকে জানা যায় পিত্তথলি পাথরে ভরতি ৷ তাঁর গলব্লাডারের আকার প্রায় দ্বিগুন হয়ে 7x2 সেমি থেকে 12x4 সেমি হয়ে গিয়েছে। এটি একটি গুরুতর জটিল অস্ত্রোপচার ছিল ৷ কারণ গলব্লাডারে পাথর হলে রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হয় ৷ তাঁর ক্যানসার পর্যন্তও হতে পারত ৷ গত পরশু (শুক্রবার) অপারেশন করা হয় ৷ তারপর দিন রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি এখন বিপদমুক্ত ৷ অপারেশনের সময় অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছিল ৷ কারণ গলব্লাডারে ছিদ্রের কারণে পাথর পেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগীর সংক্রমণেরও ঝুঁকি ছিল। একারণেই গলব্লাডারকে এন্ডোব্যাগে রেখে পাথরগুলো অপসারণ করা হয়েছে।"