নয়াদিল্লি, 14 এপ্রিল: চার্টার্ড প্লেন এবং হেলিকপ্টারের অপারেটর সংস্থাগুলি নির্বাচনী আবহে দু’হাতে উপার্জনের সুযোগ দেখছেন ৷ এর প্রধান কারণ, রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষস্তরের নেতাদের বিভিন্ন রাজ্যে প্রচারে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টার ও চাটার্ড বিমানের চাহিদা এই মুহূর্তে তুঙ্গে ৷ দ্রুত বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছে প্রচারের জন্য হেলিকপ্টার ও চাটার্ড বিমান ভাড়া নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি ৷ ফলে বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে প্রায় 40 শতাংশ চাহিদা বেড়েছে ৷ এর ফলে মোটা অংকের মুনাফা আসতে চলেছে সংস্থাগুলির ঘরে ৷
আগামী 19 এপ্রিল থেকে দেশের গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব ৷ আর তার আগে জোরকদমে রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার শুরু করে দিয়েছে ৷ বিশেষত, জাতীয় দলগুলির শীর্ষ নেতানেত্রীরা বিভিন্ন রাজ্যে এক একদিনে 3-4টি করে সভা করছেন ৷ অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্যস্থানে পৌঁছতে, তাই ভরসা হেলিকপ্টার অথবা চাটার্ড বিমান ৷ ফলে দেশের চাটার্ড বিমান ভাড়া দেওয়া সংস্থাগুলির কাছে বুকিং ক্রমশ বাড়ছে ৷ যা প্রায় 40 শতাংশ বেশি ৷
বিমান ভাড়া দেওয়া এই সংস্থাগুলি মনে করছে, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন অন্যান্য বছরের থেকে এবার লাভের অংক প্রায় 15-20 শতাংশ বেশি হতে চলেছে ৷ এই বাড়তি বুকিংয়ের কারণে ঘণ্টা প্রতি ভাড়ার টাকাও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে ৷ সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সংস্থাগুলির তরফে বলা হয়েছে, চাটার্ড বিমানের জন্য ভাড়া প্রতি ঘণ্টায় সাড়ে চার লক্ষ থেকে 5 লক্ষ 25 হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে ৷ সেখানে ডাবল ইঞ্জিন হেলিকপ্টারের ভাড়া প্রতিঘণ্টায় দেড় থেকে 1 লক্ষ 70 হাজার টাকা ৷
উল্লেখ্য, বছরের সাধারণ সময়ের থেকে চাহিদা যেমন বেশি ৷ অন্যদিকে, 2019 লোকসভা নির্বাচনে চাটার্ড বিমান ও হেলিকপ্টারের যে চাহিদা ছিল, তার থেকেও অনেক বেশি বুকিং করছে রাজনৈতিক দলগুলি ৷ ফলে রাজনৈতিক দলের বাইরে কেউ চাটার্ড বিমান বা হেলিকপ্টার ভাড়া নিতে চাইলে পাচ্ছেন না ৷ বিশেষত, ফিক্সড উইং বিমানের সংখ্যা না-এর পর্যায়ে চলে গিয়েছে ৷ ফলে কয়েকটি বিমান সংস্থা লিজে বাইরে থেকে চাটার্ড প্লেন ও হেলিকপ্টার নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে ৷
আরও পড়ুন: