বারাবাঙ্কি (উত্তরপ্রদেশ), 18 মে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার দাবি করেছেন, ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি রামমন্দিরের উপর বুলডোজার চালাবে ৷ পাশাপাশি কোথায় বুলডোজার চালানো উচিৎ, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে বিরোধীদের শিক্ষা নিতেও বলেছেন মোদি। উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, লোকসভা নির্বাচনে হ্যাটট্রিক করে তাঁর সরকার আবার ফিরছে ৷ তাঁর মতে, কংগ্রেস সম্মান বাঁচাতে মাত্র 50টি আসন পাওয়ার চেষ্টায় আছে ৷
বারাবাঙ্কি, ফতেপুর ও হামিরপুরে শুক্রবার তিনটি জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সরকারি চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষণের একটি বড় অংশ যা তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য বরাদ্দ ৷ তবে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট তাদের ভোটব্যাঙ্ক সংখ্য়ালঘুদের দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ করেন মোদি। বারাবাঙ্কিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ইন্ডিয়া জোট অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য মাঠে নেমেছে। নির্বাচনের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এই জোট তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে শুরু করবে ৷" এরপরই অযোধ্যা মন্দির ইস্যুতে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টিকে আক্রমণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, একজন সমাজবাদী পার্টি নেতা রামনবমীর দিন বলেছিলেন, রামমন্দির অকেজো। আর কংগ্রেস রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে উলটে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই তিনি বলেন, "যদি সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে, তারা রামলালাকে তাঁবুতে ফেরত পাঠাবে ৷ মন্দিরেও বুলডোজার চালাবে ৷" যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত অপরাধীদের সম্পত্তি বেআইনিভাবে ধ্বংস করার জন্য বুলডোজার ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে ৷ বিরোধীরা দাবি করেছে, এই বুলডোজারের শিকার বেশিরভাগই মুসলিম। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "বিরোধী জোটের কাছে ভোটব্যাঙ্কের চেয়ে বড় কিছু নেই। এসপি এবং কংগ্রেস তোষণের রাজনীতির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। যখন মোদি দেশের কাছে তাদের সত্য তুলে ধরে, তারা বলে যে মোদি হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরি করছে। এই লোকেরা যে ভোটব্যাঙ্কের পিছনে ছুটছে তারাও এখন সত্য বুঝতে শুরু করেছে।"
মোদি আরও বলেন, "আমাদের মা ও বোনেরা তিন তালাকের আইন নিয়ে খুশি এবং বিজেপিকে ক্রমাগত আশীর্বাদ করছেন ৷" তিনি মুসলিমদের সংরক্ষণের আওতায় আনার প্রচেষ্টা নিয়ে বিরোধীদের নিন্দা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "সংবিধান যখন তৈরি হয়েছিল, তখন গণপরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে কোনো সংরক্ষণ করা যাবে না।"
আরও পড়ুন: