দৌসা (রাজস্থান), 6 জুলাই: বাড়িতে বন্ধু-পরিবারের সঙ্গে চুটিয়ে উদযাপন হয়েছে জন্মদিন ৷ পরের দিন ছিল স্কুল ৷ আর পাঁচটা দিনের মতোই স্কুলে যায় দশম শ্রেণির পড়ুয়া যতেন্দ্র উপাধ্যায় ৷ আচমকাই সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় সে ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে বান্দিকুই মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিকিৎসকদের অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয় 16 বছরের স্কুল পড়ুয়া ৷
বান্দিকুই মহকুমার পণ্ডিতপুরার বাসিন্দা যতেন্দ্র, জ্যোতিবা ফুলে সিনিয়র স্কুলের পড়ুয়া ছিল ৷ তার আচমকা মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার থেকে শিক্ষক-বন্ধুবান্ধব, সবাই ৷ বান্দিকুই থানার এসএইচও প্রেম চন্দ জানান, পড়ুয়া যতেন্দ্রর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে ৷ তবে সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে ৷ কিন্তু পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হয়নি ৷ জানা গিয়েছে, যতেন্দ্রর হার্টের সমস্যা ছিল ৷ সে কারণে তার চিকিৎসাও চলছিল ৷ গত 5 জুলাই তার জন্মদিন ছিল ৷
হাসপাতালের চিকিৎসক পবন জারওয়াল বলেন, "স্কুলের কর্মীরা ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন ৷ তাকে আনার সময় হার্টবিট ছিল না ৷ আমরা সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) করে তাঁকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেছি ৷ কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয় ৷" তিনি আরও জানান, পড়ুয়ার আগে থেকেই হৃদরোগের সমস্যা ছিল ৷ তাই তার পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত করতে রাজি হননি ৷ পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে তারা আলওয়ারে নিজেদের গ্রামে ছেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন করবেন। কিশোরের পরিবার জানিয়েছে, প্রায় 3 বছর আগে ওই ছাত্রের হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা ধরা পড়ে ৷ যে কারণে তাকে 15 দিন জেকে লোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ স্কুলের কর্মী এবং ছাত্ররা জানিয়েছেন যে প্রতিদিনের মতো, যতেন্দ্র শনিবার সকাল 6:45 মিনিটে স্কুলে পৌঁছয় ৷ তার কিছুক্ষণ পরেই সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায় ৷ তারপরেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷