মান্ডি (হিমাচল প্রদেশ), 8 মার্চ: কিছুদিন আগেই বিএসএফ পেয়েছে প্রথম মহিলা স্নাইপার ৷ সম্প্রতি তিনি বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন ৷ 8 সপ্তাহে এই স্নাইপার কোর্স সম্পূর্ণ করতে ইন্সট্রাকটর গ্রাউন্ডের খেতাব অর্জন করেছেন তিনি । 56 জন ছেলের মধ্যে নিজের বীরত্ব প্রদান করেছেন সুমন ঠাকুর । 28 বছর বয়সি সুমন হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার তুগলঘাটি অঞ্চলের কুতল গ্রামের বাসিন্দা । বিএসএফে প্রথম মহিলা স্নাইপার হয়ে সুমন শুধু হিমাচল প্রদেশের গৌরব আনেননি, গৌরবান্বিত করেছেন দেশকেও ৷
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সুমন ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলে ইটিভি ভারত । সেখানেই স্নাইপার কোর্স প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন । 28 বছর বয়সি সুমন এখন বিএসএফের পঞ্জাব ইউনিটে সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত । 2019 সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পরে, তিনি 2021 সালে বিএসএফে নিয়োগ পান । পঞ্জাবে একটি প্লাটুন কমান্ড করার সময় সীমান্ত থেকে স্নাইপার আক্রমণের বিপদ বোঝার পর সুমন স্বেচ্ছায় স্নাইপার কোর্স করার সিদ্ধান্ত নেন । তাঁর সিদ্ধান্তকে পরিবার স্বাগত জানিয়েছিল ৷ সিনিয়ররাও এক্ষেত্রে তাঁর মনোবল বাড়িয়েছে ।
সুমন জানান, পরিবার সব সময় তাঁর পাশে থেকেছে । কখনও কোথাও যেতে বাধা দেওয়া হয়নি ৷ ছোট থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগদানের ইচ্ছে ছিল তাঁর ৷ এতে বাবা-মায়েরও পূর্ণ সমর্থন ছিল ৷ শুধু কয়েকজন আত্মীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি ৷
সুমনের কথায় জানা যায়, স্নাইপার কোর্সের সময় অনেক বাধা এসেছিল কিন্তু সব অসুবিধা কাটিয়ে সব কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি । এমন কিছু কাজ ছিল যেগুলো একজন নারী হওয়ার জন্য তাকে শারীরিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে । এই কোর্সটি সম্পূর্ণ করার জন্য সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তা প্রয়োজন ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন সুমন ঠাকুর । তাঁর কথায়, পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের কথা অবশ্যই শোনা হয় কিন্তু তাদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না । নারীরাও তাদের ভালো কাজ এবং সিদ্ধান্তের জন্য পুরুষদের পাশাপাশি প্রশংসার দাবিদার । সমাজে নারীদেরও সমাদৃত হতে হবে । সমাজে কিছু ভুল হলে নারীদের এগিয়ে এসে আওয়াজ তুলতে হবে ।
আরও পড়ুন :