নয়াদিল্লি, 22 জুলাই: ছ'দশকের শাপমুক্তি! 58 বছর আগে বিজেপি ও আরএসএসের উপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল মোদি সরকার। স্বভাবতই কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি এবং আরএসএস ৷ যদিও, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ৷ তাদের অভিযোগ, এর মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ৷
এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) বলেছে, "এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে ৷" তবে, এই ইস্যুতে আগের সব সরকারের সমালোচনা করেছে আরএসএস ৷ বিশেষত, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিশানা করা হয়েছে ৷ বলা হয়েছে, পূর্বতন সরকার (পড়ুন ইউপিএ সরকার) হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিকে টার্গেট করে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে ৷
এই নিষেধাজ্ঞার জারি হয়েছিল 1966 সালে ৷ সে সময় কংগ্রেস ভারতের ক্ষমতায় ছিল ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা পীযূষ গোয়েল বলেছেন, "কংগ্রেস সরকারের পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল ৷ এই দলটি সর্বদা তোষণের রাজনীতির স্বার্থে জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির প্রতি নেতিবাচক মানসিকতা দেখিয়েছে ।"
অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদির সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "আমরা জানি, বিজেপি কীভাবে আরএসএস-কে ব্যবহার করে সমস্ত সাংবিধানিক ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দখল করে নিচ্ছে ৷ সরকারি কর্মচারীদের আরএসএসের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে মোদিজি সকল সরকারি কর্মচারীদের রাজনৈতিক ধ্যানধারণাকে একটি নির্দিষ্ট দিকে চালিত করার চেষ্টা করছেন ৷"
তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ সরকারি কর্মচারীদের তাঁদের কাজের জায়গায় নিরপেক্ষ ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যেতে বাধা সৃষ্টি করবে ৷ সেই তাঁর অভিযোগ, সদ্য় সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দেশের মানুষ বিজেপি ও আরএসএসের সংবিধান বদলের অসাধু বাসনাকে বানচাল করে দিয়েছে। সেই কারণে এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের রাস্তায় হেঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷