নয়াদিল্লি, 8 অগস্ট: লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ৷ বৃহস্পতিবার সংসদের নিম্নকক্ষে এই বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ৷ তবে এই বিল নিয়ে সংসদে সরব হন বিরোধীরা ৷ তাদের বিরোধিতার পর বিলটি খতিয়ে দেখার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে সরকার ৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এ দিন মুসলমান ওয়াকফ (রিপল) বিল 2024-ও পেশ করেন ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত জানান, 1923 সালে এই আইন তৈরি করা হয়েছিল ৷ 1995 সালে ওয়াকফ আইন তৈরি হওয়ার পর এই আইনটির আর কোনও গুরুত্ব ছিল না ৷
তিনি এই নিয়ে তোপ দাগেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা ৷ অমিত শাহের দাবি, বর্তমানে যে ওয়াকফ আইন রয়েছে, তাতে অনেক ত্রুটি রয়েছে ৷ ফলে ওই আইনের মাধ্যমে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না ৷ এই বিলের মাধ্যমে পুরনো আইনের নতুন নামকরণও করা হচ্ছে ৷ নতুন আইনের নাম হচ্ছে, সমন্বিত ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা, ক্ষমতায়ন, দক্ষতা ও উন্নয়ন আইন, 1995 ।
মঙ্গলবার রাতে বিলটি লোকসভার সাংসদদের কাছে দেওয়া হয় ৷ বৃহস্পতিবার বিলটি যখন কিরেন রিজিজু পেশ করার জন্য ওঠেন, সেই সময় বিরোধীদের মধ্যে অনেক সাংসদ এই বিলের বিরোধিতা করে নোটিশ দেন ৷ তাঁদের অভিযোগ, এই বিলের মাধ্যমে কেন্দ্রের মোদি সরকার সংবিধান ও সাংবিধানিক কাঠামোর উপর আক্রমণ করতে চাইছে ৷ তবে রিজুজু জানান যে এই বিলের মাধ্যমে কোনও ধর্মের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে না ৷ সংবিধানের কোনও বিধানই এই খসড়া আইনে লঙ্ঘন করা হয়নি ৷
তিনি আরও জানান, 1995 সালের ওয়াকফ আইনে কাজের কাজ হচ্ছিল না ৷ কংগ্রেস সদস্যরা যে সংশোধনগুলি চাইছেন, সেগুলি কংগ্রেসের সরকার কেন করেনি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন রিজিজু ৷ তিনি আরও জানান, যৌথ সংসদীয় কমিটি পুরনো আইনে প্রয়োজনে পর্যালোচনা করার কথা আগেই বলেছিল ৷ বিরোধীরা শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য বিরোধিতা করছেন ৷ তাঁর আরও দাবি যে কয়েকজন সাংসদ ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কাছে অভিযোগ করেছেন যে ওয়াকফ বোর্ড মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে ৷ দলের চাপেই এই এখন অনেক সাংসদ বিরোধিতা করছেন ৷