বিলাসপুর, 16 ফেব্রুয়ারি: পুজো করার নামে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ ৷ পরিবারের সদস্যদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে পুজোর নামে এই দুষ্কর্ম করে ভণ্ড সাধু ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুর জেলার রতনপুরে ৷
এখানে বসবাসকারী দুটি পরিবারকে তাদের প্রতিবেশীরা বলেছিল যে বিলাসপুরে একজন সাধুবাবা আছেন যিনি কুমারী মেয়েদের পুজো করেন ৷ আর তা করলে সংসারে প্রচুর অর্থ আসে ৷ এই কথা শোনা মাত্রই ফাঁদে পড়ে মেয়েদুটির পরিবার । পরিবারে টাকা আসার লোভে এই কাজ করাতে তিনি দু'জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন । তাঁরাও কুমারী মেয়ের পুজো করলে ঘরে টাকার বৃষ্টির কথা বলে ৷ 11 ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত ভণ্ডরা দুই নাবালিকা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিলাসপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছয় ।
সেখানে নিয়ে গিয়ে পণ্ডিত কুলেশ্বর রাজপুত ওরফে পণ্ডিত ঠাকুর ও কানহাইয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ৷ পুজো করার পর তাদের টাকা দিয়ে বর্ষণ করার কথা বলেন । অভিযুক্তরা দু'জন নাবালিকাকে মদনপুরের রানিগাঁও চকের কাছে গণেশ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যায় ।
মূল অভিযুক্ত মেয়েটির পরিবারকে বাড়ির বাইরে থাকতে বলে এবং একটি মেয়েকে বাড়ির ভিতরে একটি ঘরে নিয়ে যায় । সেখানেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় । ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেয় । কিছুক্ষণ পর সে আরেক নাবালিকা মেয়েকে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে । কিছুক্ষণ পর, ভণ্ড সাধুবাবা রুম থেকে বেরিয়ে আসেন এবং নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের বলেন যে, পুজোর কারণে একটি মেয়ের উপর মাত্র 4000 টাকা এবং অন্য মেয়েটির উপর 2000 টাকা বর্ষণ করা হয়েছে এবং তাদের টাকা দিয়েছে । পরিবারের লোকজন টাকা নিয়ে চলে যায় । পরদিন বাড়ি ফিরে মেয়েরা ঘটনাটি তাদের পরিবারকে জানায় । এরপর পরিবারের লোকজন রতনপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ।
এই বিষয়ে পল্লীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্চনা ঝা জানান, তন্ত্রমন্ত্রের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে । অভিযুক্তরা কুমারী মেয়েদের পুজোর টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলোভন দেখাত ৷ এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে চার অভিযুক্তকে । এক আসামি পলাতক রয়েছে ।
ঘটনার অভিযোগে রতনপুর পুলিশ মদনপুর থেকে তিন অভিযুক্তকে এবং লিগিনিয়াডি, বিলাসপুর থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে । মামলার আরেক আসামি পলাতক রয়েছে । পুলিশ তাকে খুঁজছে ।
আরও পড়ুন :