পটনা, 28 অক্টোবর: লরেন্স বিষ্ণোই । বয়স মাত্র 31। এই কাঁচা বয়সেই কি ত্রাসের সমর্থক শব্দ হয়ে উঠেছে সবরমতি জেলে বন্দি পঞ্জাব-তনয় ? আশঙ্কা আরও বাড়ল। এবার বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নাম করে হুমকি এলো পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদবের কাছে।
মহারাষ্ট্রের বড় নেতা বাবা সিদ্দিকিকে মাত্র কিছুদিন আগেই প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় দায় নিয়ে বিষ্ণোই গ্যাং জানিয়েছে তাদের নজরে আছেন সলমন খানও। সেই তালিকায় এবার জুড়ল লোকসভার 6 বারের সাংসদের নাম।
পাপ্পু ইতিমধ্যেই বিহার পুলিশের ডিজিকে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগ ডিজিপি-র থেকে এসেছে পূর্ণিয়ার আইজি'র কাছে। সাংসদের দাবি, হুমকি পাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও জানিয়েছেন। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা জানতে যথার্থ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন লোকসভার এই সাংসদ।
হুমকির আগাগোড়া
সাংসদের দাবি তাঁর কাছে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে । ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি জানান তাঁর নাম আজ্জু লরেন্স। এরপরই হুমকি দেওয়া হয় বলে সাংসদ জানান । কিন্তু কেন দেওয়া হল হুমকি ? ঘনিষ্ঠ মহলে সাংসদের দাবি, তিনি গত কয়েকদিনের মধ্যে একাধিকবার সলমনের হয়ে মুখ খুলেছেন । তাঁর পাশে থাকার কথা বলেছেন। আর এই কারণেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
'মারি তো গন্ডার, লুঠি তো ভাণ্ডার'
বাংলার এই প্রবাদ বাক্য লরেন্সের জন্য ব্যবহার করা বাড়াবাড়ি হবে না বলেই মনে করেন বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরা। পঞ্জাব থেকে শুরু করে দিল্লি-হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের ভাড়াটে শুটারদের নিয়ে নিজের গ্যাং গড়েছে লরেন্স। উত্তর ভারতের একাধিক চর্চিত খুন-অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। বছর দুয়েক আগে পঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক সিদ্ধু মুসেওয়ালার খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় লরেন্সের। এরপর দ্রুত একাধিক ঘটনায় লরেন্সের নাম জুড়তে থাকে।
তবে সে সব এখন অতীত । সম্প্রতি ভারত এবং কানাডার সম্পর্কের অবনতির একটা কারণ হিসেবে লরেন্সকেই দেখছে ট্রুডো প্রশাসন । তাদের দাবি, কানাডায় এই গ্যাংকে ব্যবহার করেই একাধিক খুন করাচ্ছে ভারত । তবে কানাডার এই বিস্ফোরক দাবির তালিকা বেশ বড় । খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের সঙ্গে কানাডায় কর্মরত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় বর্মাকেও জুড়েছে কানাডা । তার প্রতিবাদও করেছে ভারত ।