রুদ্রপ্রয়াগ, 10 জুন: উত্তরাখণ্ডের হিমালয় পার্বত্য এলাকায় তুষারধসের একাধিক ছবি সামনে আসছে। চোরাবারি হিমবাহের প্রায় চার কিলোমিটার উপরে কেদারনাথ এলাকাতেও এবার সেই তুষারধসের ছবি দেখা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে এমন তুষারধস দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি এই ঘটনাকে বিজ্ঞানীরা অবশ্য স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন।
সম্প্রতি কেদারনাথ অঞ্চলে হিমালয় পর্বতশ্রেণীতে হিমবাহের একাংশ ভেঙে পড়ার একটি ছবি সামনে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, চোরাবারি হিমবাহ থেকে প্রায় চার কিলোমিটার উচ্চতায় এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে। যার জেরে এখানে বড় তুষারধসের ঘটনাও ঘটেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। যদিও জানা গিয়েছে, হিমালয়ের উঁচু এলাকায় হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার কারণেই তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে। হিমবাহ ভেঙে পড়ার পর নীচের খাদে বিশাল বরফের চাঁই পড়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে ৷ রবিবার এই তুষারধসের ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
জানা গিয়েছে, এই দৃশ্য কেদারনাথ মন্দির থেকেও দেখা গিয়েছে ৷ অনেকে তাদের মোবাইলে সেই দৃশ্য রেকর্ডও করেছেন। আসলে চোরাবাড়ি হিমবাহ কেদারনাথ মন্দিরের ঠিক পিছনে অবস্থিত। এই হিমবাহ থেকেই তুষারধস হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই চোরাবারি হিমবাহকেই 2013 সালে কেদারনাথ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা হয়েছিল ৷ অতিবৃষ্টির কারণে এই হিমবাহে অতিরিক্ত জল ভরতি হয়ে আচমকা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সম্ভবত এ কারণেই এখন এই হিমবাহ এলাকায় তুষারধসের ঘটনা ঘটলে তা নিয়ে সকলেই শঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷
এর আগে কেদারনাথ এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছিল। এরপরই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা এই ধরনের ঘটনাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন ৷ হিমালয়ে ঘন ঘন তুষারধসের কথাও উল্লেখ করেছেন তাঁরা। এর আগেও এই হিমবাহের কাছে একাধিকবার তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে 2013 সালের 16-17 জুন যে বিপর্যয় ঘটেছিল, তারপর থেকে বিজ্ঞানীরা এই পুরো এলাকার উপর ক্রমাগত নজর রাখছেন। হিমবাহের উপর কোনও ধরনের হ্রদ গঠনের বিষয়েও মনিটরিং করা হয়।