শিবমোগা (কর্নাটক), 3 মে: দীর্ঘ একমাস ধরে পেটের ব্যাথা ৷ কিন্তু, চিকিৎসকরা ধরতে পারছেন না ঠিক কী কারণে ব্যথা করছে পেটে ৷ প্রায় একমাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় ব্যক্তির পেট থেকে উদ্ধার হয়েছে আস্ত একটি মোবাইল ফোন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের শিবমোগা সেন্ট্রাল সংশোধনাগারের এক বন্দির সঙ্গে ৷ বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে সেই মোবাইল ফোন বের করেছেন চিকিৎসকরা ৷ বর্তমানে সুস্থ আছে ওই বন্দি ৷
কীভাবে মোবাইল ফোন গেল বন্দির পেটে ?
জানা গিয়েছে, পরশুরাম নামে ওই বন্দি শিবমোগা সেন্ট্রাল সংশোধনাগারের আবাসিক ৷ গত মার্চ মাস থেকে আচমকাই পরশুরামের পেটে ব্যথা শুরু হয় ৷ কারাগারের চিকিৎসক প্রথমে পেটে ব্যাথার ওষুধ দেন ৷ কিন্তু, কোনও কিছুতেই কাজ হয় না ৷ একমাস পরেও সেই ব্যথা না-কমায় বন্দি পরশুরামকে শিবমোগার মেগান হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ সেখানে চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করেন ৷ বুঝতে পারেন, পেটে কিছু রয়েছে ৷ পেটের স্ক্যানে তা ধরাও পড়ে ৷ কিন্তু, জিনিসটা কী? তা বুঝতে পারেননি চিকিৎসকরা ৷ কী রয়েছে পেটে, জানতে চাইলে পরশুরাম বলেছিল, পাথর হতে পারে!
কোনও ঝুঁকি না-নিয়ে ওই বন্দিকে বেঙ্গালুরুতে পাঠানো হয় গত 1 এপ্রিল ৷ 3 এপ্রিল বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার তার চিকিৎসা শুরু করেন ৷ পরশুরামকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভরতি করানো হয় ৷ সেখানে পেটের স্ক্যান করা হয় ৷ ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক বুঝতে পারেন, পেটের ভিতরে আস্ত একটা মোবাইল ফোন রয়েছে ৷ দীর্ঘ দিন হাসপাতালে রেখে পরশুরামের চিকিৎসা চলে ৷ এরপর গত 25 এপ্রিল পরশুরামের অস্ত্রোপচার হয় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ৷
মোবাইল ফোন বের করার পর, ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে পরশুরাম ৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে ওই মোবাইল সংশোধনাগারের ভিতরে কীভাবে গেল ? আর কবে ও কীভাবে মোবাইলটি গিলেছিল ওই বন্দি ? এই সব প্রশ্নের জবাব এখনও মেলেনি বলে দাবি পুলিশের ৷ তবে এখনও পরশুরাম হাসপাতালে রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: