নয়াদিল্লি, 29 ডিসেম্বর: দিল্লি পুলিশ বাংলাদেশের আট নাগরিককে আটক করেছে ৷ তারা রাজধানীর রংপুরী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন ৷ রবিবার দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জাহাঙ্গীর, তাঁর স্ত্রী এবং ছয় সন্তান, বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার কেকেরহাট গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের দেশে ফেরাবার ব্যবস্থাও হযেছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, জাহাঙ্গীর অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের কথা স্বীকার করেছেন ৷ পরে পরিবারকেও নিয়ে আসেন। তারা তাঁদের বাংলাদেশি পরিচয়পত্রও নষ্ট করে ফেলেছিলেন ৷ এরপর তাঁদের আসল পরিচয় গোপন করে দিল্লিতে বসবাস করছিলেন। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সুরেন্দ্র চৌধুরী বলেন, "বসন্ত কুঞ্জ দক্ষিণ থানাকে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের শনাক্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অবৈধদের বাসিন্দাদের খুঁজতে পুলিশ রংপুরীতে 400 টি পরিবারের ডোর টু ডোর ভেরিফিকেশনও করেছে ৷"
এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ঠিকানা যাচাই করতে যাবতীয় ফর্মগুলি পাঠানো হয়েছিল ৷ তাদের নথি ম্যানুয়ালি যাচাই করার জন্য একটি বিশেষ দলও পাঠানো হয়েছিল। এই সময়, তারা জানতে পারে জাহাঙ্গীর এবং তার পরিবার বাংলাদেশি ৷ ডিসিপি জানান, প্রক্রিয়াটি ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের (এফআরআরও) সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয়েছিল। শুক্রবার, দিল্লি পুলিশ একজন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে বিতাড়িত করেছে ৷ যারা বেআইনিভাবে গত ছয় বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় বাস করেছিল। 28 বছর বয়সি এক মহিলা আইন লঙ্ঘন করে দিল্লি এবং মুম্বইতে থাকছিলেন বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
উপরাজ্যপালের সচিবালয় এই মাসে এই ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনের নির্দেশ দেওয়ার পরে, সিটি পুলিশ রাজধানীতে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের চিহ্নিত করার জন্য একটি অভিযান শুরু করে। সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অভিবাসীদের শনাক্ত করার জন্য ভোটার আইডি এবং আধার কার্ডও দেখে বিভিন্ন থানায় দলগুলি বস্তি এবং কালিন্দী কুঞ্জ, শাহীন বাগ, হযরত নিজামুদ্দিন এবং জামিয়া নগর এলাকায় পরিদর্শন করছে। সচিবালয় দিল্লির মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধানকে শহরে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দুই মাসের বিশেষ অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। (পিটিআই)