কুন্দ্রাথুর (চেন্নাই), 15 নভেম্বর: বাড়িতে ইঁদুরের উৎপাত বেড়েছিল ৷ অতিষ্ঠ হয়ে এক বেসরকারি পেস্ট কন্ট্রোল সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন গৃহকর্তা ৷ এরপর সেই সংস্থার এক কর্মী এসে গুঁড়ো বিষ প্রতিটি ঘরের কোণে কোণে ছড়িয়ে যান। স্প্রে-ও করে দিয়ে যান ৷ আর তাতেই প্রাণ গেল দুই শিশুর। তাদের মা ও বাবার শারীরিক পরিস্থিতিও সঙ্কটজনক।
জানা গিয়েছে, রাতে সব জানলা দরজা বন্ধ করে ঘরে এসি চালিয়ে ছেলেমেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়েন গৃহকর্তা গিরিধরন ও তাঁর স্ত্রী পবিত্রা ৷ বুধবার সকালে কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন ৷ পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢুকতেই দেখা যায় চারজন অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন ৷ তড়িঘড়ি তাঁদের সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসকরা দুই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ সঙ্কটজনক অবস্থায় দম্পতি ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে ৷ পুলিশ শিশু দুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সরকারি ক্রোমপেট হাসপাতালে পাঠিয়েছে ।
শিশু দুটির একজনের নাম বৈষ্ণবী (6)। অন্যজন সাই সুদর্শন (1) ৷ এই ঘটনায় শুক্রবার কুন্দ্রাথুর থানা একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলেও বাকি দু'জন পলাতক ৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ৷ সংশ্লিষ্ট কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ৷
তদন্তে জানা গিয়েছে, যে ঘরে গুঁড়ো বিষ স্প্রে করা ছিল সেটি ছিল বদ্ধ ৷ এসি চালু থাকায় ঘরের বাতাস বিষাক্ত হয়ে যায় ৷ সব জানলা দরজা বন্ধ থাকায় বিষাক্ত ধোঁয়া বেরোতে পারেনি ৷ শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বিষ দুই শিশু ও দম্পতির শরীরে প্রবেশ করে ৷ তাতেই দম আটকে এই দুর্ঘটনা। কয়েকটি সূত্র ধরে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।