Interview Of Rajanya Haldar: বিরোধিতার নামে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানাটানি কাম্য নয়, ক্ষোভ প্রকাশ রাজন্যার
🎬 Watch Now: Feature Video
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটের সভানেত্রী রাজ্যনা হালদার । বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যু নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি, তখন তাঁর উপর বিশ্বাস রেখে রাজন্যাকে নয়া দায়িত্ব দিয়েছে তাঁর দল ৷ তবে তাঁকে ঘিরেও বর্তমানে উঠছে নানা প্রশ্ন ৷ সোশাল মিডিয়াজুড়ে এখন চর্চার অন্যতম মুখ তিনি, কখনও কখনও তাঁকে নিয়ে আলোচনা কুরুচিকর মাত্রাতেও পৌঁছচ্ছে ৷ এই যাবতীয় বিষয় নিয়ে ইটিভি ভারতের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মত জানিয়েছেন ছাত্র রাজনীতির এই নয়া মুখ ৷ তাঁর কথায়, "বর্তমানে আমরা লড়ছি ব়্যাগিং মুক্ত একটা সমাজ গড়ে তুলতে । কিন্তু আমার সঙ্গে বিরোধীরা রাজনৈতিক লড়াই লড়তে গিয়ে তারা আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানাটানি করছে। আমার পরিচিত অনেকেই এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না, এভাবে যারা এসব ছড়াচ্ছেন তারা কিন্তু আরেকটা প্রাণ নেওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এটা কি ব়্যাগিং নয় ?"
তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে যখন প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল, তখন সেখানেই তাঁদের দেখা গিয়েছে বহিরাগত নিয়ে ডেপুটেশন জমা দিতে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যনার সাফাই, "বহিরাগতদের ভিতরে প্রবেশে সমস্যা নেই । কিন্তু তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করে নেশা করছে সেটার বিরোধিতা আমরা করছি ।" অন্যদিকে যখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানোর দাবি তুলছে তৃণমূল, তখন স্বরূপনগরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যামেরা বসানোর বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে ৷ এই বিষয়ে রাজন্যার মত, ওখানে মহিলাদের শৌচাগারের সামনে ক্যামেরা লাগানো হচ্ছিল, সেটা অনুচিত ।" তবে সচেতন না-হলে শুধুমাত্র সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে যে ব়্যাগিংয়ের মতো অপরাধ বন্ধ করা যায় না তা মানছেন রাজন্যাও ৷ তবে তাঁর কথায়, অপরাধ বন্ধ করা না-গেলেও ক্যামেরা থাকলে অন্তত অপরাধীকে সনাক্ত করা ও ধরা যাবে ।