হায়দরাবাদ: ইমোজি বিশ্বজুড়ে বার্তা আদান-প্রদানের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় । ইমোজি হল আবেগ প্রকাশের একটি উপায় ৷ যা একটি কার্টুন চরিত্রের আকারে উপস্থাপিত হয় । এর জন্য কোনও লেখা লেখার প্রয়োজন নেই । প্রতি বছর 17 জুলাই সারা বিশ্বে ইমোজি দিবস হিসেবে পালিত হয় । জেনে নিন, ইমোজি সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য় ।
সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ইমোজি
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় 'ক্রাইং লাফিং ইমোজি' । এই ইমোজির মাধ্যমে হাসতে হাসতে চোখের জল মুছতে দেখানো হয় । একটি গবেষণা অনুসারে, 2022 সালের ফেব্রুয়ারিতে 9 মিলিয়ন জিওট্যাগ করা টুইটের বিশ্লেষণ করা হয়েছিল । গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে ক্রাইং, লাফিং এবং হার্ট ইমোজি ।
কীভাবে ইমোজি ব্যবহার করবেন ?
ইমোজি দুটি জাপানি শব্দ 'ই' অর্থ 'ছবি' এবং 'মোজি' অর্থ 'চরিত্র' দিয়ে তৈরি । একটি ইমোজি হল একটি ছোট ডিজিটাল ছবি বা আইকন যা মানুষ আবেগ দেখানোর জন্য ব্যবহার করে । হাসি, সুখ, দুঃখ ইত্যাদির জন্য বিভিন্ন ইমোজি ব্যবহার করা হয় ।
ইমোজি কখন শুরু হয়েছিল ?
বিশ্বে জাপানের একজন শিল্পীকে ইমোজির জনক বলা হয় । জাপানের টেলিকম কোম্পানি এনটিটি ডোকোমোতে কর্মরত একজন শিল্পী শিগেতাকা প্রথম ইমোজি আবিষ্কার করেন । ইমোজির মাধ্যমে মোবাইলে টেক্সট পাঠানোর আইডিয়া পান তিনি । এর জন্য 22 ফেব্রুয়ারি 1999-এ শিগেতাকা 176টি রঙিন ইমোজির একটি সেট প্রস্তুত করেন । তার এই এক্সপেরিমেন্টটি মানুষের মধ্যে খুব বিখ্যাত ছিল । এর পরে, 2016 সালে শিগেতাকার ইমোজি সেটটি নিউইয়র্কের মডার্ন আর্ট মিউজিয়ামে রাখা হয়েছিল । এই ইমোজির পরে সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ওঠে । আর তারপর থেকেই 17 জুলাই বিশ্ব ইমোজি দিবস পালন করা হয় ৷
আরও পড়ুন: বাঁশ গাছ ঘরে সৌভাগ্য নিয়ে আসে ! জেনে নিন এর উপকারিতা