পূর্ব জার্মানির ড্রেসডেন শহরের এক হাসপাতালের হাতের অস্ত্রোপচার বিশেষজ্ঞদের বর্ণনা অনুযায়ী, আঙুল ঝনঝনানির সমস্যা ইঙ্গিত দেয় যে আপনার কবজির কারপাল টানেলের নার্ভ বাণ্ডিলগুলির উপর চাপ পড়ছে । সোমবার DPA সংবাদসংস্থার তরফে এই খবর জানানো হয়েছে ।
এই চাপের দরুন হাতের ওই অংশের রক্তপ্রবাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে, ফলে নার্ভ তন্তুগুলির মৃত্যু হতে পারে । দক্ষতার উপর প্রভাব পড়তে পারে, ফলে উদাহরণস্বরূপ দরজা খোলা বা কোনও জিনিস ধরায় সমস্যা দেখা দিতে পারে, হাতের আঙুল অসাড় হয়ে যাওয়ার ফলে ।
যদি সক্রিয় হয়ে ডাক্তার দেখান, এই ধরনের ঝনঝনানি বার বার অনুভব করার পর, বিশেষ করে ঘুমের মধ্যে বুড়ো আঙুল, তর্জনী কিংবা মাঝের আঙুলটিতে, তাহলে বড় ক্ষতি এড়ানোর তা একটি ভাল প্রক্রিয়া ।
এর চিকিৎসার প্রথম ধাপ হল সাধারণত রাতে একটি বিশেষ স্প্লিন্ট পরে থাকা, যা কবজিকে গতিহীন করে তুলবে ।
যে ধরনের পেশায় কম্পনশীল সাজ-সরঞ্জামের প্রয়োজন যেমন নির্মাণকর্মীরা ব্যবহার করেন বা যে পেশায় ভারি জিনিসপত্র বহন করতে হয় যেমন ওয়েটার-ওয়েট্রেস, তাদের ক্ষেত্রে হাতকে একটু বিশ্রাম দেওয়া দরকার যদি চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাদের জানান, এই কারণে তাদের হাতের আঙুলে ঝনঝনানির সমস্যা হচ্ছে ।
যদি আঙুল ঝনঝন করে, অসাড় হয়ে যায় এবং প্যারালিসিস-এর উপসর্গ বাড়তে থাকে, তাহলে এই ধরনের প্রথাগত চিকিৎসার পাশাপাশি হাতে অস্ত্রোপচার করাও জরুরি হতে পারে।
২. অফিসে ফিরে যাওয়ার সময়ের জন্য পাঁচটি এমন জিনিস, যা সঙ্গে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন
(IANSlife) প্যানডেমিকের আগে যদি অফিসে কাজ করার অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে আপনার ক্ষেত্রে এমনটা হয়তো নিশ্চয়ই ঘটেছে যে, গত বছরের মার্চ মাসের এক দিন আপনি অফিস থেকে বেরিয়ে ভাবলেন, কয়েক সপ্তাহ কিংবা খুব বেশি হলে কয়েক মাস পর নিশ্চয়ই আবার ফিরে আসবেন । কিন্তু প্রায় এক বছর কেটে যাওয়ার পর, যে অফিস থেকে দূরে বসেই কাজ করতে হবে, এমন সম্ভাবনাই স্থায়ী হতে যাচ্ছিল, তা অবশেষে শেষ হচ্ছে ।
যদিও পেশাদার দুনিয়ায় ফেরা এবং সহকর্মীদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ চালু হওয়ার সম্ভাবনায় উৎসাহ অনেকেরই তুঙ্গে, তবুও ঘরের আরামদায়ক পরিবেশে কাজ ছেড়ে আবার পেশাদার সেটআপে বসে কাজ করতে বাধ্য হওয়া, অনেকেরই কাছে নিরাশাজনক এবং রীতিমতো চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে ।
তা সত্ত্বেও এমন একটি অত্যাবশকীয় জিনিসপত্রের তালিকা নিচে দেওয়া হল, যা আপনার ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর আরামকে অফিসের ‘ওয়ার্কস্পেস’-এও বজায় রাখবে ।
স্বয়ংসম্পূর্ণ সিপার
আপনার সময় বাঁচিয়ে দেওয়া এই সিপারকে নিতে ভুলবেন না । এটি এমন একটি সম্পদ, যা শেয়ার করার পরামর্শ দেওয়া যাবে না । আর এতে নিউ নর্মাল জীবনেও আপনি সবরকম ভাইরাস আর সংক্রমণ থেকে দূরে থাকবেন । মনে হবে, যেন বাড়িরই একটি অংশ অফিসে নিয়ে যাচ্ছেন । অফিসের কাজের পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলুন নিজের ওয়ার্কস্টেশনে সুন্দর সুন্দর রঙের সিপার দিয়ে সাজিয়ে তুলে । এগুলি থাকলে জল খেতেও ভুলবেন না, যা জরুরি ।
কোলাহল বন্ধ করে দেওয়া হেডফোন
বাড়িতে কাজ করার সুবিধাই হল কোলাহলবর্জিত, শান্ত পরিবেশ । কিন্তু অফিসে ফিরে যাওয়া মানেই চারদিকে হাসি-কথার আওয়াজ আসা । এটা কারও কারও ক্ষেত্রে বিরক্তিকর হতে পারে । তাই ভাল গুণমান দেখে এমন হেডফোন কিনুন, যা পরে কোলাহল কানে প্রবেশ করবে না, আপনি নিজের কাজে ফোকাস করতে পারবেন । যদি সতর্ক হয়ে কাজ করতে চান, ইয়ার প্যাডও ব্যবহার করতে পারেন ।
ময়শ্চারাইজিং স্যানিটাইজার
স্যানিটাইজ । গত এক বছর ধরে বার বার এই শব্দটা আমরা শুনে আসছি । আর শুনলেই প্যানডেমিক আমাদের মনের মধ্যে যে ভীতির প্রবেশ ঘটিয়ে দিয়েছে, তা ফিরে আসে । অফিসে কাজে ফেরায় সেই ভয় আরও বাড়বে আর একমাত্র সমাধানের রাস্তা হল ভাল গুণমানের ময়শ্চারাইজিং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, যা একইসঙ্গে জীবাণুও মারবে আবার হাতেরও যত্ন নেবে । বিশ্বের সব জায়গাতেই নানা ধরনের উদ্ভাবনী যুদ্ধ চলছে, আর ত্বকের যত্ন নেওয়াও তার বাইরে পড়ে না । এই অবস্থায় একটি সাশ্রয়ী মূল্যের স্যানিটাইজার বাছুন (যেমন স্যাভলন ময়শ্চারাইজিং স্যানিটাইজার) । এটি জীবাণু থেকে তো বাঁচাবেই পাশাপাশি হাত মোলায়েমও বানাবে । তাই আপনি যতবার খুশি এটি ব্যবহার করতে পারেন হাত স্যানিটাইজ করার জন্য ।
মন ভাল করা জার্নাল
আমাদের বার বার পেশাদার কাজকর্ম এবং ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য সময়ের অদলবদল করে চলতে হয় । এটা করতে গিয়ে আমরা নিজেদের খেয়াল রাখতেই সময় পাই না । এর থেকে বাঁচার জন্য মন ভাল করা জার্নাল খুব দরকারি জিনিস, কারণ এগুলি পড়ে আমরা আমাদের চিন্তাভাবনা এবং উদ্বেগ প্রভৃতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব এবং চা-কফি পানের বিরতির সময়টাকে উপভোগ্য করে তুলতে পারব, মাথাটাকে হালকা করে । তাই এমন ধরনের জার্নাল বেছে নিন, যা পড়তে আপনার ভাল লাগে । আর তারপর নিজের জীবনটাকে একটু রঙিন আর উদ্দীপনায় ভরপুর করে তুলুন এই অতি প্রয়োজনীয় জিনিসটিকে সঙ্গী করার মাধ্যমে ।
অ্যারোম্যাটিক চা
একথা অনস্বীকার্য যে সুগন্ধি চায়ের বিশেষত্ত্বই আলাদা । এই ধরনের চা পান আপনাকে আপনার সবচেয়ে খারাপ দিনটির মধ্যেও আপনাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে সক্ষম । শীতের সন্ধ্যায় উষ্ণতার সন্ধান যেমন পাবেন তেমনই গ্রীষ্মের দিনগুলিতে এই চা-ই বরফযোগে গরমের দাপট কমিয়ে, দেবে শান্তি । সুগন্ধি চা সত্যিই এক কাপ আনন্দ এবং আলসেমি কাটানোর যথার্থ রেমেডি । কাজকর্মের ব্যস্ততায় এরই এক কাপ আপনার প্রয়োজনে আসবে ।