হায়দরাবাদ: পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন । দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে ছোট শিশুরাও সংক্রমণের শিকার হয় এবং তারা প্রায়ই সর্দি-কাশিতে ভোগে ।
যদি দেখা যায়, সব শিশুই সূক্ষ্ম এবং খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের ক্ষুব্ধতাও তাদের দ্রুত সুস্থ হতে দেয় না । তখন আমাদের দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায় ৷ তবে এখন আর আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই ৷ জেনে নিন, এমন কিছু ফলের কথা যেগুলি শুধু শিশুরা পছন্দ করবে না তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াবে ।
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ৷ যা পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে । এ জন্য তাদের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন স্ট্রবেরি, মিষ্টি আলু, কমলা, কিউই, ব্ল্যাকবেরি, আঙুর, পেয়ারা খেতে দেওয়া উচিত । যাই হোক টক ফলকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।
যেসব ফল শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
লেবু চিনির জল: শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন সকালে লেবু জল পান করান । এর জন্য এক গ্লাস জলে লেবুর রস মিশিয়ে তাতে এক চামচ ও এক চিমটি লবণ মেশান । এই মিশ্রণটি রান্না করুন । শিশুরা এটি খুব পছন্দ করবে এবং এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী প্রমাণিত হবে ।
জাম: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ জাম শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর হবে ৷ তাই শিশুদের অবশ্যই খাওয়ান । যদি আপনার শিশু এটি খেতে পছন্দ না করে তবে এর বীজ আলাদা করে তাতে কালো লবণ ও ভাজা জিরে মিশিয়ে জামুন শেক তৈরি করে তাকে দিন । এই শিশুরা অবশ্যই এটি পছন্দ করবে । শুধু তাই নয়, এতে উপস্থিত ফাইবার তাদের পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করবে ।
কমলালেবু: কমলার রস শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে ৷ তাই আপনার বাচ্চাদেরও এগুলি দেওয়া উচিত । এতে উপস্থিত ভিটামিন সি শিশুদের যেকোনও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক ।
আঙুর: ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ আঙুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে ৷ তাই শিশুদের খাদ্যতালিকায় এই ফলটি যোগ করুন ।
পেয়ারা: পেয়ারা ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ একটি উচ্চ শক্তির ফল । এটিকে কেটে বা এর রস বানিয়ে শিশুদের দিতে হবে ৷ যা শিশুদের শরীরে শক্তি বজায় রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করবে ।
আরও পড়ুন: মন খুশ, শরীরও ঠান্ডা! জেনে নিন গোলাপের শরবতের উপকারী দিকগুলি
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)