হায়দরাবাদ: আমাদের ত্বক প্রতিদিন দূষণ, ধুলোবালি এবং অন্যান্য অনেক কিছুর সম্মুখীন হয় । এ ছাড়া মানসিক চাপ, হরমোন, জাঙ্ক ফুড ইত্যাদিও আমাদের ত্বকে প্রভাব ফেলে । এই সমস্ত কারণে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় । ব্রণ এমন একটি সমস্যা যাতে ত্বকের ছিদ্রগুলি আটকে যায় । এই আটকে থাকা ছিদ্রগুলিতে ব্যাকটেরিয়া জমা হয় এবং সেই স্থানে প্রদাহ হয় । অনেক ব্রণও আপনার মুখে দাগ ফেলে যেতে পারে ৷ যা আপনার আত্মবিশ্বাসকে দুর্বল করে দিতে পারে । তাই ব্রণের চিকিৎসা করা খুবই জরুরি । ব্রণের চিকিৎসার জন্য আপনাকে কোনও ওষুধ খেতে হবে এমন নয় । আপনার বাড়িতে উপস্থিত কিছু প্রাকৃতিক জিনিসের সাহায্যে ব্রণ নিরাময় করতে পারেন । জেনে নিন, কোন কোন জিনিস দিয়ে ব্রণের চিকিৎসা করা যায় (Acne can be treated with some things)৷
অ্যালোভেরা (Aloe vera): অ্যালোভেরা তার শান্ত এবং প্রশান্তিদায়ক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত । ব্রণের উপর এটি ব্যবহার করে ৷ লালভাব এবং প্রদাহ উভয়ই কমানো যায় । আপনি সহজেই আপনার বাড়িতে অ্যালোভেরা চাষ করতে পারেন ৷ যা ব্রণ থেকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে সহায়তা করতে পারে । অ্যালোভেরার পাতা কেটে তার জেল বের করে মুখে লাগান এবং 10-15 মিনিট রেখে দিন । এর পর পরিষ্কার ও ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন । এটি ব্রণ কমাতে খুবই সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে ।
টি ট্রি অয়েল (Tea Tree Oil): টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় ৷ যা ব্রণের সমস্যা কমাতে খুবই উপকারী । বাজারে পাওয়া ব্রণ চিকিৎসার ক্রিমগুলির বিপরীতে, এটি আপনার ত্বককে শুষ্ক করে না এবং ব্রণ থেকে মুক্তি পেতেও সহায়তা করে । আপনি এটি সরাসরি ব্রণের উপর ব্যবহার করতে পারেন এবং এটি রাতারাতি রেখেও দিতে পারেন । তবে প্রয়োগ করার আগে এটি পাতলা করতে ভুলবেন না ।
গ্রিন টি (Green Tea): আমরা ওজন কমাতে গ্রিন টি ব্যবহার করলেও ব্রণের সমস্যা দূর করতেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে । গ্রিন টিতে পলিফেনল পাওয়া যায় ৷ যা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি । এই কারণে এটি ব্রণের সমস্যাকে শিকড় থেকে দূর করতে সাহায্য করতে পারে । আপনি গ্রিন টি ব্যাগটি হালকাভাবে ভিজিয়ে আপনার ব্রণের উপর লাগাতে পারেন অথবা আপনি গ্রিন টি তৈরি করে ঠান্ডা করে তারপর আপনার ব্রণের উপর লাগাতে পারেন ।
আপেল সিডার ভিনিগার: আপেল সিডার ভিনিগার ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে । এটি ব্যবহার করে ব্রণ কমানো যেতে পারে ৷ তবে মনে রাখবেন এটি আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়া করতে পারে । অতএব এর পরিমাণের চেয়ে তিনগুণ বেশি জল ব্যবহার করুন এবং সর্বোচ্চ 30 সেকেন্ডের জন্য ব্রণের উপর লাগান এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন ।
মধু: মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় ৷ যা আপনাকে ব্রণর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে । এটি ব্রণ দ্বারা সৃষ্টি ফোলা কমাতেও সহায়ক হয় । আপনি এটিকে ফেস মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন এবং সরাসরি ব্রণের ওপর লাগাতে পারেন । প্রয়োগের 10 মিনিট পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)