ETV Bharat / sukhibhava

COVID Effects on Stillbirths: গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্য়ুতেও হাত রয়েছে করোনার বলছে গবেষণা

গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্য়ুর কারণও হতে পারে করোনার সংক্রমণ (COVID infection can cause stillbirths)৷ এমনই চাঞ্চল্য়কর দাবি তুললেন গবেষকরা ৷

COVID Effects on Stillbirths
গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্য়ুতেও হাত রয়েছে করোনার বলছে গবেষণা
author img

By

Published : Feb 15, 2022, 8:42 PM IST

হায়দরাবাদ : করোনা ভাইরাস গর্ভের ভিতরে শিশু মৃত্য়ুর ক্ষেত্রে ঠিক কী প্রভাব ফেলে তা খতিয়ে দেখতে 12টি দেশের মোট 64টি মৃত সন্তান প্রসব এবং চারটি সদ্য়জাত শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালিয়েছেন গবেষকরা ৷ 44 জন সদস্য় বিশিষ্ট এই গবেষক দলটির অনুসন্ধান রীতিমত চমকে দেওয়ার মত, দেখা গিয়েছে করোনার সংক্রমণ প্ল্যাসেন্টাকে ধ্বংস করে দেয়, যার জেরে ভ্রূণে অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না ।

গবেষকদের দাবি, মায়ের দেহের রক্তপ্রবাহের মাধ্য়মে প্ল্য়াসেন্টায় পৌঁছনোর পর ভাইরাসটি একে বিকল করে দেয় ৷ এই প্রক্রিয়ার নাম ভাইরেমিয়া ৷ আটলান্টার প্যাথলজিস্ট তথা গবেষণার মুখ্য় গবেষক ডঃ ডেভিড শোয়ার্টজ বলেন, "আমাদের গবেষণা বলছে করোনা আক্রান্ত মহিলাদের মৃত সন্তান প্রসবের মূল কারণ হল প্ল্যাসেন্টালের অভাব ৷ 68টি ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে গড়ে 77 শতাংশ প্লাসেন্টা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং ভ্রুণের জন্য় যতখানি প্ল্যাসেন্টার সক্রিয়তা গুরুত্বপূর্ণ তা পাওয়া যায়নি ৷ যার জেরে মায়েরা মৃত সন্তান প্রসব করেছেন (COVID infection is responsible for stillbirths)৷ "

গবেষকরা দেখেছেন করোনা আক্রান্ত সমস্ত মায়েদের ক্ষেত্রেই প্লেসেন্টাইটিস নামে একটি গুরুতর অস্বাভাবিকতা তৈরি হয়েছে এবং তাঁরা প্ল্যাসেন্টায় সংক্রমণের কারণে তৈরি ক্ষতগুলিও খুঁজে পেয়েছেন, যা ভ্রুণের রক্তপ্রবাহ এবং অক্সিজেন প্রবাহকে অবরুদ্ধ করে প্ল্যাসেন্টাল টিসুগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, প্রায় সমস্ত ঘটনাতেই দেখা গিয়েছে ফিব্রিনের পরিমান অনেক বেড়ে গিয়েছে অর্থাৎ সেই প্রোটিন যাকে ব্লাড ক্লট তৈরির ক্ষেত্রে প্রধান অপরাধী হিসাবে ধরা হয় ৷ দেখা গিয়েছে এইসব মায়েদের দেহে ফিব্রিন এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে তা ভ্রুণের রক্ত এবং অক্সিজেন পৌঁছানোর পথকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে ফেলেছে ৷ সমস্ত প্ল্যাসেন্টাসে প্রচুর মৃত কোষও খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা যা মায়ের শরীরের প্রধান কোষের সঙ্গে ভ্রুণের যোগাযোগ স্থাপনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ এটি ট্রফোব্লাস্ট নেক্রোসিস নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন : গর্ভাবস্থায় অনিদ্রা বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ সমস্যার ঝুঁকি, বলছে গবেষণা

এছড়া ভাইরাসের কারণে আরও একটি প্ল্যাসেন্টাল জটিলতা তৈরি হতে পারে যার জেরে ক্রনিক হিস্টিওসাইটিক ইন্টারভিলোসাইটিস নামক প্রদাহজনক কোষগুলি পরস্পর এসে জমা হতে থাকে ৷ 97 শতাংশ ক্ষেত্রে এধরণের ঘটনা খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা ৷ গবেষকদের মতে সমস্য়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেল্টা ভ্য়ারিয়্যান্ট, ওমিক্রন নয় ৷ তবে অন্য়ান্য় ভাইরাল সংক্রমণও প্ল্যাসেন্টার ক্ষতিসাধনের কারণ হতে পারে ৷ যদিও শোয়াটার্জের মতে প্ল্য়াসেন্টায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে সার্স কোভ-2 ৷ তিনি জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে কোভিড ভ্য়াকসিন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য় অত্য়ন্ত প্রয়োজন, কারণ ভ্য়াকসিনের মাধ্য়মে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডি ভ্রুণের রক্ষায় সহায়ক হতে পারে ৷

হায়দরাবাদ : করোনা ভাইরাস গর্ভের ভিতরে শিশু মৃত্য়ুর ক্ষেত্রে ঠিক কী প্রভাব ফেলে তা খতিয়ে দেখতে 12টি দেশের মোট 64টি মৃত সন্তান প্রসব এবং চারটি সদ্য়জাত শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালিয়েছেন গবেষকরা ৷ 44 জন সদস্য় বিশিষ্ট এই গবেষক দলটির অনুসন্ধান রীতিমত চমকে দেওয়ার মত, দেখা গিয়েছে করোনার সংক্রমণ প্ল্যাসেন্টাকে ধ্বংস করে দেয়, যার জেরে ভ্রূণে অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না ।

গবেষকদের দাবি, মায়ের দেহের রক্তপ্রবাহের মাধ্য়মে প্ল্য়াসেন্টায় পৌঁছনোর পর ভাইরাসটি একে বিকল করে দেয় ৷ এই প্রক্রিয়ার নাম ভাইরেমিয়া ৷ আটলান্টার প্যাথলজিস্ট তথা গবেষণার মুখ্য় গবেষক ডঃ ডেভিড শোয়ার্টজ বলেন, "আমাদের গবেষণা বলছে করোনা আক্রান্ত মহিলাদের মৃত সন্তান প্রসবের মূল কারণ হল প্ল্যাসেন্টালের অভাব ৷ 68টি ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে গড়ে 77 শতাংশ প্লাসেন্টা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং ভ্রুণের জন্য় যতখানি প্ল্যাসেন্টার সক্রিয়তা গুরুত্বপূর্ণ তা পাওয়া যায়নি ৷ যার জেরে মায়েরা মৃত সন্তান প্রসব করেছেন (COVID infection is responsible for stillbirths)৷ "

গবেষকরা দেখেছেন করোনা আক্রান্ত সমস্ত মায়েদের ক্ষেত্রেই প্লেসেন্টাইটিস নামে একটি গুরুতর অস্বাভাবিকতা তৈরি হয়েছে এবং তাঁরা প্ল্যাসেন্টায় সংক্রমণের কারণে তৈরি ক্ষতগুলিও খুঁজে পেয়েছেন, যা ভ্রুণের রক্তপ্রবাহ এবং অক্সিজেন প্রবাহকে অবরুদ্ধ করে প্ল্যাসেন্টাল টিসুগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, প্রায় সমস্ত ঘটনাতেই দেখা গিয়েছে ফিব্রিনের পরিমান অনেক বেড়ে গিয়েছে অর্থাৎ সেই প্রোটিন যাকে ব্লাড ক্লট তৈরির ক্ষেত্রে প্রধান অপরাধী হিসাবে ধরা হয় ৷ দেখা গিয়েছে এইসব মায়েদের দেহে ফিব্রিন এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে তা ভ্রুণের রক্ত এবং অক্সিজেন পৌঁছানোর পথকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে ফেলেছে ৷ সমস্ত প্ল্যাসেন্টাসে প্রচুর মৃত কোষও খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা যা মায়ের শরীরের প্রধান কোষের সঙ্গে ভ্রুণের যোগাযোগ স্থাপনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ এটি ট্রফোব্লাস্ট নেক্রোসিস নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন : গর্ভাবস্থায় অনিদ্রা বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ সমস্যার ঝুঁকি, বলছে গবেষণা

এছড়া ভাইরাসের কারণে আরও একটি প্ল্যাসেন্টাল জটিলতা তৈরি হতে পারে যার জেরে ক্রনিক হিস্টিওসাইটিক ইন্টারভিলোসাইটিস নামক প্রদাহজনক কোষগুলি পরস্পর এসে জমা হতে থাকে ৷ 97 শতাংশ ক্ষেত্রে এধরণের ঘটনা খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা ৷ গবেষকদের মতে সমস্য়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেল্টা ভ্য়ারিয়্যান্ট, ওমিক্রন নয় ৷ তবে অন্য়ান্য় ভাইরাল সংক্রমণও প্ল্যাসেন্টার ক্ষতিসাধনের কারণ হতে পারে ৷ যদিও শোয়াটার্জের মতে প্ল্য়াসেন্টায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে সার্স কোভ-2 ৷ তিনি জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে কোভিড ভ্য়াকসিন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য় অত্য়ন্ত প্রয়োজন, কারণ ভ্য়াকসিনের মাধ্য়মে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডি ভ্রুণের রক্ষায় সহায়ক হতে পারে ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.