হায়দরাবাদ: জীবনকালে গড়ে প্রায় 450টি পিরিয়ডসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মেয়েদের ৷ পিরিয়ডস সরাসরি মানসিক, প্রজনন এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত । 2017 সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের মহিলারা তাঁদের মাসিকের জন্য প্রতিমাসে প্রায় 200 টাকা খরচ করেন, যেখানে উন্নত দেশগুলিতে মহিলারা এই ক্ষেত্রে 1500 থেকে 2000 টাকার (ভারতীয় মুদ্রায়) কম বিনিয়োগ করেন না (Menstrual Hygiene Products) ।
তাহলে কেন ভারতীয় মহিলারা তাঁদের ঋতুচক্রের কারণে যথেষ্ট খরচ করেন না ? ভারতীয়রা সৌন্দর্যের জন্য, আন্তর্জাতিক প্রসাধনী বিভিন্ন ফ্যাশন বা খাবারের দোকানে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভিড় জমান । অথচ ঋতুচক্রের কথা আসলে তাদের ব্যয় তেমন চোখে পড়ে না (Largest consumer markets) ৷ যাইহোক, এই প্রবণতাটি জানান দেয় যে, মাসিকের স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন নন অনেকেই । আবার এমনও হতে পারে যে পিরিয়ডসের জন্য উপলব্ধ সস্তা বিকল্পগুলির কারণেই (যেমন প্লাস্টিকের স্যানিটারি প্যাড বা ঘরে তৈরি কাপড়ের প্যাড যা আমাদের শরীর এবং পরিবেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকারক প্রমাণিত হয়েছে) কেউ বিষয়টি নিয়ে এত মাথা ঘামায় না ৷
গ্রামীণ অঞ্চলে সচেতনতার অভাব অনেক অস্বাস্থ্যকর বিকল্প ব্যবহার করতে বাধ্য করে (Menstrual health management)। কিন্তু পিরিয়ডস কেয়ারের ক্ষেত্রে গ্রামীণ মানসিকতা কি শহুরে মানসিকতার থেকে আলাদা ? কেন পিরিয়ডস এখনও একটি বিলাসিতা হিসাবে বিবেচিত হয় ? আপনি কি মনে করেন ঋতুস্রাব পুরুষের হলে অভ্যাস পরিবর্তন হতো বা ব্যয় বেশি হতো ?
আরও পড়ুন: চুলে রং করা থেকে বাসন মাজা, গর্ভবতী মহিলারা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে
প্রতিমাসে মেয়েরা বিভিন্ন হরমোন এবং শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় ৷ ফলে মেজাজের পরিবর্তন, ক্লান্তি, ফুসকুড়ি, ক্র্যাম্প, মূত্রনালির সংক্রমণ এবং আরও অনেক কিছু হয় । PCOS/PCOD, বন্ধ্যাত্ব এবং সার্ভিকাল ক্যান্সারের মতো জীবনযাত্রার ব্যাধিগুলি দ্রুত বাড়ছে যা সরাসরি মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত । ভারত সরকার এবং ইউনিসেফের রিপোর্ট বলছে, আমাদের দেশে সচেতনতার অভাব এবং দারিদ্র্য হল এর পিছনে একটি বড় কারণ ৷ প্রায় 2 কোটি মহিলার ক্ষেত্রে তাঁদের পিরিয়ডসকেয়ার প্রোডাক্ট কেনার কোনও সামর্থ নেই ৷
পুনঃব্যবহারযোগ্য পিরিয়ডস অন্তর্বাসগুলি সব স্কুল এবং কলেজের মেয়েদের জন্য আবশ্যক। আরেকটি টেকসই পিরিয়ডস কেয়ার প্রোডাক্ট যা বেশ আরাম প্রদান করে, তা হল রাসায়নিকমুক্ত, জৈব এবং 100% বায়োডিগ্রেডেবল ট্যাম্পন ৷ এ ধরনের কিছু প্রোডাক্ট আপনার শরীর সুস্থ রাখতে ভীষণ জরুরি ৷