হায়দরাবাদ: সুস্থ থাকতে হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরি । যা আপনার শারীরিক ও মানসিক বিকাশে উপকারী । খাদ্য মস্তিষ্কের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে । এমতাবস্থায় মস্তিষ্ককে সুস্থ করার জন্য আপনার খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত । বিশেষ করে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য তাদের খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও শিশুদের বিকাশের জন্য সঠিক ও সুষম খাবারের পরামর্শ দেন ।
দই
দই আয়োডিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস । এটি মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান । এছাড়াও দইয়ে প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন-বি12, সেলেনিয়ামের মতো উপাদান পাওয়া যায় যা মস্তিষ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।
সবুজপত্রবিশিস্ট শাকসবজি
আপনি যদি শিশুদের মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে চান তাহলে অবশ্যই তাদের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সবজি যেমন পালং শাক ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করুন । লেটুসকেও ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ৷ এতে ফোলেট, ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন-ই এবং কে-সহ অনেক পুষ্টি রয়েছে যা মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী ।
শিম এবং মটরশুটি
বাচ্চাদের ডায়েটে শিম যোগ করুন । এগুলিতে ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফোলেটের মতো উপাদান রয়েছে । এগুলি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করে ।
গোটা শস্যদানা
গোটা শস্য যেমন গম, বার্লি, চাল, ওটস, বার্লি অনেক ভিটামিন সমৃদ্ধ । যা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে । তাই শিশুদের অবশ্যই গোটা শস্য খাওয়াতে হবে । আপনি এটি থেকে বিভিন্ন ধরণের রেসিপিও তৈরি করতে পারেন, যা বাচ্চাদের খেতে সুস্বাদু লাগবে ।
বাদাম এবং বীজ
বাদাম এবং বীজ জাতীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ওমেগা -3 সমৃদ্ধ সুপারফুড । এগুলি মস্তিষ্কের বিকাশকে উন্নত করে । এজন্য শিশুদের খাবারে পেস্তা অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে । এতে উপস্থিত লুটেইন নামক ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ রাখতে সাহায্য করে । এছাড়া কুমড়োর বীজে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা শরীর ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে ।
আরও পড়ুন: গরমে বারবার হজমশক্তি খারাপ হয় ? মুক্তি দেবে এই পানীয়গুলি
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)