হায়দরাবাদ: যদিও একেকটি শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধির হার একেকরকম, কিন্তু একটি নির্দিষ্ট বয়সে আপনার সন্তানের উচ্চতা কম হলে তা মায়ের জন্য চিন্তার বিষয় ৷ কারণ, একমাত্র মা-ই পারেন তার সন্তানের অভ্যাস ভালোভাবে বুঝতে পারেন (Understand the child habits well)।
খাবারের ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রতিটি শিশুর জন্যেই মারাত্মক ক্ষতি প্রমাণিত হতে পারে। এর ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ তাই বাচ্চাদের শুধুমাত্র ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ান এবং তাদের খাদ্যতালিকায় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল অন্তর্ভুক্ত করুন । যা খেলে শিশুর উচ্চতা দ্রুত বাড়তে পারে ।
বাদাম এবং দুধ: পুষ্টিগুণে ভরপুর বাদাম ও দুধ শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক । এজন্য সারারাত বাদাম ভিজিয়ে রেখে পরের দিন এক গ্লাস দুধের সঙ্গে শিশুকে খাওয়ান । বাদামে উপস্থিত অনেক ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবার শিশুর জন্য সব দিক থেকেই উপকারী ।
দই: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ তাজা দই শিশুদের হাড়ের বিকাশে খুবই সহায়ক ৷ তাই আপনার বাচ্চাদের মধ্যে দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন । এছাড়াও এতে উপস্থিত ভিটামিন ডি এবং প্রোবায়োটিক শিশুদের হাড়কে ভেতর থেকে মজবুত করে তাদের বিকাশে সাহায্য করে ।
পালং শাক-টমেটো স্যুপ: বাচ্চাদের একটানা পালং শাক-টমেটোর স্যুপ খাওয়ালে বাচ্চার উচ্চতা বাড়তে শুরু করবে । এটি হাড় মজবুত করতে সহায়ক এবং এই স্যুপ পান করলে দৃষ্টিশক্তিও ভালো হয় ।
ভেজানো ছোলা এবং গুড়: সকালে বাচ্চাদের ভিজিয়ে রাখা ছোলা ও গুড় খাওয়ালে তাদের উচ্চতা দ্রুত বাড়তে শুরু করে, কারণ ছোলা প্রোটিন, আয়রন এবং ভিটামিন বি এর ভালো উৎস । কার্বোহাইড্রেটযুক্ত গুড় শিশুদের জন্যও খুবই উপকারী ।
ডিম এবং মাছ: শিশু যদি আমিষভোজী হয় তবে তাকে অবশ্যই ডিম ও মাছ খাওয়ান । প্রোটিন, বায়োটিন এবং আয়রন সমৃদ্ধ এই জিনিসগুলি শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)