হায়দরাবাদ : হার্ট ফেলিওর বলতে সাধারণভাবে এটাই বোঝায় যে হৃৎপিণ্ড সঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে পারছে না ৷ ফলত শুরু হয় শ্বাসকষ্ট, দ্রুত হৃদস্পন্দন, এবং ক্লান্তি । এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী অসুখ যা সঠিক চিকিৎসা এবং যত্নের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় । যাঁদের এধরণের অসুখ রয়েছে সেই রোগীরা কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে, নির্ধারিত চিকিৎসা পরিকল্পনা মেনে চললে এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা পালন করলে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারেন ।
হায়দরাবাদের অ্যাপোলো স্পেকট্রা হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ কে শরৎ চন্দ্র বলেন, "ভারতে, হার্ট ফেলিওর একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা এবং এর কারণগুলি হল ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের প্রকোপ । প্রায়ই আমরা অল্পবয়সি মানুষদের এই সমস্যা নিয়ে আসতে দেখি । এই সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করার জন্য, আমাদের জীবনযাত্রার উন্নতি করতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, ধূমপান বন্ধ করতে হবে এবং অ্যালকোহল গ্রহণ সীমিত করতে হবে । এছাড়াও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ।" সমস্ত হার্ট ফেলিওর রোগীদের জন্য এখানে কয়েকটি টিপস রয়েছে (Expert Advice to Prevent Heart Failure) :
- আপনার কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলুন : আপনার কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন ৷ নতুন যে লক্ষণগুলি আপনি অনুভব করছেন তা ভাল হোক বা খারাপ সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে তা জানান এবং পরামর্শ নিন ৷ সময়মত চেকআপ করান এটি আপনার অগ্রগতি কেমন হচ্ছে তা নির্দেশ করতে সাহায্য করবে ৷
- লবন খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হোন : কিডনিতে অপর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহের ফলে শরীরে জল এবং অন্যান্য তরলের পরিমাণ বেড়ে যায় ৷ এর ফলে পা, পেট এবং গোড়ালি ফুলে যায় ৷ এছাড়া প্রস্রাবও বেশি হয় ৷ এই অবস্থায় আপনি যদি নুন খাওয়া নিয়ন্ত্রণ না করেন তাহলে শরীরে অতিরিক্ত তরল তৈরি হতেই থাকবে যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাবে ৷ তাই খাবারে লবনের মাত্রা কমান এবং তার বদলে হার্বস বা মশলা ব্যবহার করুন ৷
- জলপানের ওপর নজর রাখুন : এই অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে জলপান আপনার হার্টের সমস্যাকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে ৷ এক্ষেত্রে চা, সফট ড্রিংক, আইসক্রিমের মত খাবারও কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷
- নির্দেশিত ওষুধ পত্র খেতে ভুলবেন না : চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন মত ওষুধ খেতে ভুল করবেন না ৷ এর জন্য় অ্যালার্ম সেট করুন অথবা স্টিকি নোট ব্যবহার করুন ৷ আর একই সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে ভুলবেন না ৷
আরও পড়ুন: শরীরের কী কী সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে হাইপারটেনশন ?