হায়দরাবাদ: রূপটানে লিপস্টিক মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ ৷ সিক্ত ঠোঁটে কখনও গাঢ় রং আবা কখনও হালকা রং নারীকে করতে তোলে মোহময়ী ৷ তবে লিপস্টিক নিতে গেলে একটা সমস্যা হয় ৷ সেটা হল সচরাচর অনেকেই লিপস্টিকের ধরন সম্পর্কে সচেতন থাকেন না ৷ অর্থাৎ গ্লস লিপস্টিক, ক্রিম লিপস্টিক, ফ্রস্টেড লিপস্টিক, শিয়র লিপস্টিক-এর ধরন কী বা কোন ধরনের কী নাম সেটাই কম-বেশি অনেকেই জানেন না ৷ বাট নট টু ওয়ারি ৷ আজকের এই তালিকা দেখে নিলে নিজের পছন্দের লিপস্টিক বাছতে আর সমস্যা হবে না আপনাদের ৷
ম্যাট লিপস্টিক: এই নামের লিপস্টিকের সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত ৷ মূলত এই লিপস্টিকে ওয়াক্স থাকে বেশি ৷ যে কারণে এর তৈলাক্ত ভাব বা শাইন কম। তবে একবার ঠোঁটে লাগালে এই লিপস্টিক অনেকক্ষণ স্থায়ী থাকে ৷ ঠোঁটের শেপও স্পষ্ট থাকে। তবে যাঁদের ঘনঘন ঠোঁট ফাটার সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ম্যাট লিপস্টিক এড়িয়ে চললেই ভাল ৷
ক্রিম লিপস্টিক: এতে ওয়াক্স ও অয়েল প্রায় সমান সমান থাকে। ফলে যাঁদের ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন ৷
শিয়ার লিপস্টিক: এই লিপস্টিক একটু হালকা ধরণের হয় ৷ অর্থাৎ রং উজ্জ্বল হলেও ঠোঁটে তা সিক্তভাব বজায় রাখবে ৷ এই লিপস্টিক খুব বেশিক্ষণ ঠোঁটে থাকে না ৷ তাই বারবার ব্যবহার করতে হয় ৷
গ্লসি লিপস্টিক: ঠোঁটকে আবেদনময়ী করে তুলতে এই লিপস্টিকের জুড়ি মেলা ভার ৷ তবে এই লিপস্টিক একটু ভারী ধরণের হয় ৷ ফলে সারাদিনের জন্য এই লিপস্টিক না বাছাই ভালো ৷
ময়েশ্চরাইজিং লিপস্টিক: ঠোঁটকে সতেজ রাখতে ময়েশ্চরাইজার সবসময়ই দরকার ৷ সেই গুণ যদি লিপস্টিকে থাকে, তাহলে ঠোঁটের ক্ষতি কম হয় ৷ গ্লিসারিন, অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন-ই দিয়ে সাধারণত ময়েশ্চরাইজিং লিপস্টিক তৈরি হয় ৷ সবরকম শেডেই এই লিপস্টিক পাওয়া যায় ৷
ফ্রস্টি লিপস্টিক: এই লিপস্টিক একটু চকচকে ধরণের ৷ লিপস্টিকের সঙ্গে ঠোঁটে একটা আভা তৈরি করে ৷ যা আলো পড়লে চকচক করে ৷ তবে এই লিপস্টিক খুব তাড়াতাড়ি ঠোঁট শুষ্ক করে দেয় ৷
লিকুইড লিপস্টিক: স্টিকের বদলে তুলি দিয়ে এই লিপস্টিক লাগানো খুব সহজ। হালকা থেকে গাঢ় সবরকমের শেডস পাওয়া যায় ৷ আর এই ধরণের লিপস্টিক স্থায়ী হয় অনেকক্ষণ ৷
আরও পড়ুন: লম্বা ও মজবুত চুল পেতে যত্ন নিন প্রাকৃতিক উপায়ে
প্লাম্পার লিপস্টিক: যাঁদের পাতলা ঠোঁট তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন প্লাম্পার ৷ আসলে এটা লিপস্টিকজাতীয় না হলেও ঠোঁট ফোলা দেখাতে প্লাম্পার ব্যবহার করা হয় ৷ অর্থাৎ কৃত্তিমতার সাহায্যে কিছুক্ষণের জন্য ঠোঁট ফোলা দেখাবে ৷ তবে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে প্লাম্পার না ব্যবহার করাই ভালো ৷
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন ৷)
