হায়দরাবাদ: যদি আপনার মন শান্ত না থাকে এবং আপনি ভেতর থেকে খুশি না হন তাহলে তা সরাসরি আপনার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে প্রভাব ফেলে । এই উত্থান-পতন এমন যে এটি পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে । যদিও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন কথা বলা হয় না এবং খুব বেশি মনোযোগ দেওয়া হয় না, কিন্তু আপনি যদি মনোযোগ দেন তবে আপনি দেখতে পাবেন যে শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে (Mental health is directly related to physical health)।
স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল স্ট্রেস ৷ তাই আপনি যদি এইগুলির শিকার হতে না চান তাহলে আপনার রুটিনে সেই কাজগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন যা আপনাকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখে (Keeps you mentally healthy)।
1) সঠিক রুটিন অনুসরণ করুন(Follow proper routine): যদি রোগ থেকে দূরে থেকে সুস্থ জীবনযাপন করতে চান, তাহলে স্বাস্থ্যকর রুটিন করুন । সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন ৷ মর্নিং ওয়াক করুন । কিছু সময় ব্যায়াম করুন এবং ধ্যান করুন । স্বাস্থ্যকর খাবারও মানসিক চাপ দূরে রাখতে খুবই সহায়ক । নিজের জন্য সময় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । দিনে মাত্র 10-15 মিনিট এটি করা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো ।
2) পর্যাপ্ত ঘুম(Sleeping): ঘুমের অভাব সরাসরি প্রভাব ফেলে আমাদের মস্তিষ্কে । মেজাজ খিটখিটে থাকে এবং অহেতুক উত্তেজনা থাকে । এজন্য সময়মতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং পূর্ণ 8 থেকে 9 ঘণ্টা ঘুমান । ঘুমানোর আধা ঘণ্টা আগে মোবাইল ও ল্যাপটপ বন্ধ করে দিন । ঘুমানোর সময় স্ক্রিন দেখা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় । রাতে চা এবং কফি (ক্যাফেইন) খাওয়া কমিয়ে দিন ।
3) বিনোদন(Entertainment): নিজেকে সুখী এবং ব্যস্ত রাখতে আপনার ব্যস্ত জীবনধারা থেকে এই জিনিসগুলির জন্য কিছু সময় বের করুন ।
4) শিল্পী মন: শিল্প নিজেকে প্রকাশ করার একটি দুর্দান্ত উপায় । সেটা ছবি আঁকা হোক, নাচ হোক, বাদ্যযন্ত্র বাজানো হোক বা এই ধরনের অন্যান্য কাজ হোক ।
5) খেলাধুলা(Playing): আপনার ব্যস্ত সময়সূচী থেকে কিছু সময় বের করুন এবং আউটডোর বা ইনডোর গেম খেলুন । এটিও মনকে শিথিল করে ।
6) বাগান করা(Gardening): প্রকৃতির মাঝে থাকা এবং কিছু সময় কাটানোও মনকে ভালো করে ৷ তাই আপনি এই ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমেও আপনার মনকে তরতাজা করতে পারেন ।
7) মিউজিক(Music): মিউজিক থেরাপি মনকে রিলাক্স করার জন্যও দারুণ ।
8) পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটান: পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোও আপনাকে খুশি করতে পারে । তাদের সঙ্গে কথা বলুন, বেড়াতে যান এবং খেলুন । আপনার মনের পাশাপাশি আপনি শারীরিকভাবেও সুস্থ থাকবেন ।
9) প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলা: সময় বের করুন এবং সেই মানুষদের সঙ্গে কথা বলুন যাদের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত কথোপকথন আপনাকে ভালো বোধ করে এবং আপনাকে অনুপ্রেরণা দেয় । তাদের সঙ্গে আপনার সুখ এবং অর্জন শেয়ার করুন । হাসি খুশির হরমোন নিঃসরণ করে, যা মনকে শান্ত রাখে ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য মনকে শান্ত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)