ETV Bharat / sukhibhava

ফিশ অয়েলের গুণাগুণ জিনোটাইপের উপর নির্ভর করতে পারে

রক্তে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উচ্চমাত্রা হার্টের রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে ৷ ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট সকলের জন্য ভাল নয় । গোটা বিষয়টি জিনোটাইপের উপর নির্ভর করছে । যদি নির্দিষ্ট জিনোটাইপ ব্যাকগ্রাউন্ড আপনার থাকে, তাহলেই ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা হ্রাসে ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট আপনাকে সাহায্য করবে । কিন্তু যদি সেই সঠিক জিনোটাইপ না থাকে, তাহলে এটা নিলে উল্টে ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা আরও বেড়ে যাবে ৷

fish oil
fish oil
author img

By

Published : Mar 31, 2021, 7:25 PM IST

ফিশ অয়েল কি আপনার গ্রহণ করা উচিত ?

গবেষকদের উত্তর, সেটা আপনার জিনোটাইপের উপর নির্ভর করছে । কারণ, গবেষণায় দেখা গিয়েছে ফিশ অয়েলের স্বাস্থ্যগত গুণাগুণ আপনি তখনই পেতে পারবেন, যদি আপনার সঠিক জেনেটিক গঠন থাকে । এই সমীক্ষার ফল পিএলওএস জেনেটিক্স-এ প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে ফিশ অয়েলের (এবং এতে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড) গুণাগুণ ও ট্রাইগ্লিসারাইডসের উপর (রক্তে থাকা এক ধরনের ফ্যাট এবং কার্ডিওভাস্কুলার রোগব্যধির একটি জৈবিক নির্ধারক) এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল ।

ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়ার গবেষক, কাইক্সিইয়ং ইয়ে জানিয়েছেন, “আমরা বহু দশক ধরেই জানি যে রক্তে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উচ্চমাত্রা হার্টের রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে ।”তাঁর কথায়, “আমরা যেটা গবেষণায় দেখেছি যে ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট সকলের জন্য ভাল নয় । গোটা বিষয়টি জিনোটাইপের উপর নির্ভর করছে । যদি নির্দিষ্ট জিনোটাইপ ব্যাকগ্রাউন্ড আপনার থাকে, তাহলেই ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা হ্রাসে ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট আপনাকে সাহায্য করবে । কিন্তু যদি সেই সঠিক জিনোটাইপ না থাকে, তাহলে এটা নিলে উল্টে ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা আরও বেড়ে যাবে ।”

এই সমীক্ষার জন্য গবেষকদের দলটি চারটি ব্লাড লিপিড (ফ্যাট) নিয়ে পরীক্ষা করেছিল । হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন, লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন, টোটাল কোলেস্টরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড । এগুলোই হল কার্ডিওভাস্কুলার রোগ ব্যাধির জৈবিক নির্ধারক । সমীক্ষার জন্য 70 হাজার মানুষের নমুনা নেওয়া হয়েছিল, ব্রিটেনের বাওব্যাঙ্ক থেকে যা একটি উচ্চমাত্রার ‘কোহর্ট’ সমীক্ষা আর এখানে প্রায় পাঁচ লাখ অংশগ্রহণকারীর থেকে জেনেটিক ও স্বাস্থ্যগত তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয় ।

এই দলটি নমুনাগুলিকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। এক দলে রয়েছে তারা যারা ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট (অন্তত 11,000 জন) গ্রহণ করেছে আর তারা, যারা এটা নেয়নি । তারপর প্রতিটি দলের জন্য আলাদা আলাদা করে জিনোম-স্তরের স্ক্যান করা হয়েছে, অন্তত 8 মিলিয়ন জেনেটিক ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে তুলনামূলক পরীক্ষা করে ।

আরও পড়ুন : উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে মাড়ির সংক্রমণের

64 মিলিয়ন পরীক্ষার পর, তাদের ফলে দেখা গিয়েছে ‘জি জ়েড বি টু’ জিনটির একটি তাৎপর্যপূর্ণ জেনেটিক ভ্যারিয়েন্ট সর্বসমক্ষে এসেছে । যাদের এজি জিনোটাইপ রয়েছে, যারা ফিশ অয়েল গ্রহণ করেছেন, তাদের ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা হ্রাস হয়েছে । কিন্তু যাদের এএ জিনোটাইপ রয়েছে, তবু ফিশ অয়েল গ্রহণ করেছেন, তাদের উল্টে ট্রাইগ্লিসারাইডস বেড়ে গিয়েছে । (আরও একটি সম্ভাব্য জিনোটাইপ জিজি ছিল, কিন্তু তার উপর প্রভাব পরীক্ষা করতে যথেষ্ট সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক মেলেনি, তাই কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি ।

ফিশ অয়েল কি আপনার গ্রহণ করা উচিত ?

গবেষকদের উত্তর, সেটা আপনার জিনোটাইপের উপর নির্ভর করছে । কারণ, গবেষণায় দেখা গিয়েছে ফিশ অয়েলের স্বাস্থ্যগত গুণাগুণ আপনি তখনই পেতে পারবেন, যদি আপনার সঠিক জেনেটিক গঠন থাকে । এই সমীক্ষার ফল পিএলওএস জেনেটিক্স-এ প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে ফিশ অয়েলের (এবং এতে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড) গুণাগুণ ও ট্রাইগ্লিসারাইডসের উপর (রক্তে থাকা এক ধরনের ফ্যাট এবং কার্ডিওভাস্কুলার রোগব্যধির একটি জৈবিক নির্ধারক) এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল ।

ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়ার গবেষক, কাইক্সিইয়ং ইয়ে জানিয়েছেন, “আমরা বহু দশক ধরেই জানি যে রক্তে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উচ্চমাত্রা হার্টের রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে ।”তাঁর কথায়, “আমরা যেটা গবেষণায় দেখেছি যে ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট সকলের জন্য ভাল নয় । গোটা বিষয়টি জিনোটাইপের উপর নির্ভর করছে । যদি নির্দিষ্ট জিনোটাইপ ব্যাকগ্রাউন্ড আপনার থাকে, তাহলেই ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা হ্রাসে ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট আপনাকে সাহায্য করবে । কিন্তু যদি সেই সঠিক জিনোটাইপ না থাকে, তাহলে এটা নিলে উল্টে ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা আরও বেড়ে যাবে ।”

এই সমীক্ষার জন্য গবেষকদের দলটি চারটি ব্লাড লিপিড (ফ্যাট) নিয়ে পরীক্ষা করেছিল । হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন, লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন, টোটাল কোলেস্টরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড । এগুলোই হল কার্ডিওভাস্কুলার রোগ ব্যাধির জৈবিক নির্ধারক । সমীক্ষার জন্য 70 হাজার মানুষের নমুনা নেওয়া হয়েছিল, ব্রিটেনের বাওব্যাঙ্ক থেকে যা একটি উচ্চমাত্রার ‘কোহর্ট’ সমীক্ষা আর এখানে প্রায় পাঁচ লাখ অংশগ্রহণকারীর থেকে জেনেটিক ও স্বাস্থ্যগত তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয় ।

এই দলটি নমুনাগুলিকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। এক দলে রয়েছে তারা যারা ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট (অন্তত 11,000 জন) গ্রহণ করেছে আর তারা, যারা এটা নেয়নি । তারপর প্রতিটি দলের জন্য আলাদা আলাদা করে জিনোম-স্তরের স্ক্যান করা হয়েছে, অন্তত 8 মিলিয়ন জেনেটিক ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে তুলনামূলক পরীক্ষা করে ।

আরও পড়ুন : উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে মাড়ির সংক্রমণের

64 মিলিয়ন পরীক্ষার পর, তাদের ফলে দেখা গিয়েছে ‘জি জ়েড বি টু’ জিনটির একটি তাৎপর্যপূর্ণ জেনেটিক ভ্যারিয়েন্ট সর্বসমক্ষে এসেছে । যাদের এজি জিনোটাইপ রয়েছে, যারা ফিশ অয়েল গ্রহণ করেছেন, তাদের ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা হ্রাস হয়েছে । কিন্তু যাদের এএ জিনোটাইপ রয়েছে, তবু ফিশ অয়েল গ্রহণ করেছেন, তাদের উল্টে ট্রাইগ্লিসারাইডস বেড়ে গিয়েছে । (আরও একটি সম্ভাব্য জিনোটাইপ জিজি ছিল, কিন্তু তার উপর প্রভাব পরীক্ষা করতে যথেষ্ট সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক মেলেনি, তাই কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.