হায়দরাবাদ: গরমের সময় খাদ্য তালিকার প্রতি যত্নবান হওয়া খুবই জরুরি । সামান্য অবহেলাও স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে । তাপমাত্রা বাড়লে শরীরে জলের অভাব দেখা দেয় । প্রবল গরম বাতাস হিট স্ট্রোকের কারণও হতে পারে । খাদ্যে বিষক্রিয়ার সমস্যাও হয় এভাবেই। তাই এই ঋতুতেও যদি ফিট থাকতে চান, তাহলে খেয়াল রাখুন কী খাচ্ছেন । তাহলে চলুন জেনে নিন গরমে কোন জিনিসগুলি এড়িয়ে চলতে হবে ।
গরম মশলা: গরমের সময় গোটা মশলা যেমন লবঙ্গ, বড় এলাচ, শুকনো আদা ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খাবেন না । এগুলি তাপ বাড়ায় এবং পেটের সমস্যা হতে পারে ।
চা এবং কফি: এগুলিতে ক্যাফেইন থাকে এবং গ্রীষ্মে অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে তাই গ্রীষ্মে অতিরিক্ত চা এবং কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন ।
ডিম: গরমের সময় ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন । ডিম খাওয়া এই অবস্থায় সালমোনেলা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় । সালমোনেলা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া । এই ব্যাকটেরিয়া খাবারকে দূষিত করে । সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত খাবার খাওয়া অন্ত্রকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে এবং পেট সম্পর্কিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায় । তবে ব্রেকফাস্টে একটা করে খেতে পারেন ৷
বাসি খাবার: বছরের এই সময়টায় বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন । 40 ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় থাকার কারণে অবশিষ্ট খাবার খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে । যা খেলে অসুস্থ হতে পারে ।
আমিষ: গরমে মাছ, লালমাংস এবং সামুদ্রিক খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন । এগুলি খেলে শরীরে বেশি তাপ উৎপন্ন হয় এবং বেশি ঘাম হয় । গ্রীষ্মের মরশুমে আমিষ হজম হতে বেশি সময় নেয় । কারও কারও হজমের সমস্যাও হয় ।
লাল মরিচ এবং কালো মরিচ: উভয়েরই গরম প্রভাব রয়েছে এবং এটি খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় যার কারণে পেটে এবং বুকে জ্বালাপোড়া, অ্যাসিডিটি এবং পেটে ব্যথা শুরু হয় ৷ তাই গরমে কম পরিমাণে খাওয়া উচিত ।
আদা-রসুন: এদের প্রভাবও গরম ৷ তাই গ্রীষ্মে এদের অতিরিক্ত খেলে ক্ষতিকর হতে পারে । গ্রীষ্মে এগুলি খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স, ডায়রিয়া, হার্ট বার্ন, রক্তপাত এবং পেটের সমস্যা হতে পারে ।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এই ফল ! আজই খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)