হায়দরাবাদ: থাইরয়েড বিশ্বজুড়ে একটি পরিচিত রোগ ৷ যেখানে আপনার থাইরয়েড এই গুরুত্বপূর্ণ হরমোনগুলির খুব বেশি বা খুব কম উত্পাদন করে । হাইপারথাইরয়েডিজম, থাইরয়েডাইটিস এবং হাশিমোটোস থাইরয়েডাইটিস বিভিন্ন ধরনের থাইরয়েড । হাইপোথাইরয়েডিজমের ফলে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়, যা শরীরকে প্রভাবিত করে ।
হাইপোথাইরয়েডিজম একটি বিপজ্জনক রোগ । যা নিরাময়ে আপনার জীবনধারা এবং খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন করে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন । এছাড়াও শুধুমাত্র সঠিক খাদ্যের সাহায্যে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে । জেনে নিন, এমন কিছু খাবারের কথা যেগুলি হাইপোথাইরয়েডিজম হলে একেবারেই খাওয়া উচিত নয় ।
সয়া খাদ্য আইটেম: সয়াতে ইস্ট্রোজেন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যাকে আইসোফ্লাভোন বলে । এটি শরীরের থাইরয়েড হরমোন ব্যবহার করার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে । হাইপোথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে সয়া জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে ।
গয়ট্রোজেন খাদ্য আইটেম: সাধারণ গয়ট্রোজেন খাবার হল শাকসবজি যার মধ্যে ব্রকলি, ফুলকপি, শালগম, বাঁধাকপি এবং পালং শাক । সঠিকভাবে এবং পরিমিতভাবে রান্না করলে এই খাবারগুলি খাওয়া যেতে পারে । গয়ট্রোজেনগুলি এমন যৌগ যা থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করে ।
ক্যাফিন: আপনি যদি থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পরে সকালে প্রথমে কফি খান, তবে এটি ওষুধের প্রভাবকেও বাধা দিতে পারে ।
ঠান্ডা পানীয়: এটি শরীরের থাইরয়েড হরমোন শোষণ করার ক্ষমতা এবং এমনকি থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ।
চিনি: এটি সারা শরীরে অদৃশ্য প্রদাহ সৃষ্টি করে । প্রদাহ থাইরয়েড ফাংশনের জন্য প্রয়োজনীয় T4 রূপান্তরকে বাধা দেয় ।
আয়োডিনযুক্ত খাবার: আপনি যদি থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যায় উদ্বিগ্ন হন, তাহলে আয়োডিন-সমৃদ্ধ জিনিস থেকে দূরে থাকা জরুরি ৷
আরও পড়ুন: এই প্রাকৃতিক পানীয়গুলি ডায়েটে রাখলে কমবে মানসিক চাপ এমনকি চুল পড়াও!
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)