ETV Bharat / sukhibhava

Monkeypox : 10 সপ্তাহেরও বেশি শরীরে থেকে যেতে পারে মাঙ্কিপক্স: গবেষণা

মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শরীরে থেকে যেতে পারে 10 সপ্তাহেরও বেশি (Lancet Study on Monkeypox ) ৷ এমনই তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক গবেষণায় ৷

Lancet Study on Monkeypox
10 সপ্তাহেরও বেশি শরীরে থেকে যেতে পারে মাঙ্কিপক্স: গবেষণা
author img

By

Published : May 27, 2022, 5:27 PM IST

হায়দরাবাদ : এই মুহূর্তে যে অসুখটি সারা বিশ্ব জুড়ে চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে সেটি হল মাঙ্কিপক্স ৷ ক্রমশ এই রোগ নিয়ে একদিকে যেমন সামনে আসছে নানা তথ্য তেমনই দ্রুত বাড়ছে এর প্রকোপ ৷ মাঙ্কিপক্স প্রথমবার বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যেসব দেশে এটি সাধারণত পাওয়া যায় না । বর্তমানে প্রায় 300 জনের শরীরে ছড়িয়ে পরেছে এই রোগ এবং এক ডজনেরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারাত্মক ভাইরাস । এবার ফের সামনে এল একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য় ৷

সম্প্রতি 2018 থেকে 2021 সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে মোট সাতজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির কেস স্টাডির ওপর ভিত্তি করে একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন লিভারপুল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের গবেষকরা (Lancet Study on Monkeypox)৷ ডেলি মেইলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সাতটি ঘটনার মধ্যেই একটি ঘটনা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ৷ যেখানে একজন 40 বছর বয়সি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, ইনি নাইজেরিয়া থেকে এই রোগের শিকার হন এবং 76 দিন তিনি আক্রান্ত ছিলেন ৷

ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল । চিকিৎসকদের দাবি, ছয় সপ্তাহ পরে যখন তিনি অসুস্থতার পরে প্রথমবার যৌনমিলন করেছিলেন ৷ তখন তার শরীরে ফের ভাইরাস ফিরে এসেছিল । তিনি চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন, কীভাবে তাঁর লিম্ফ নোডগুলি ফুলে গিয়েছে । এই ফোলা পাস্টুলার ত্বকের ক্ষতগুলি মাঙ্কিপক্সেরই বৈশিষ্ট্য ।

ক্ষত চিহ্নিত করার পর ফের যখন তাঁর গলার পিসিআর পরীক্ষা করা হয় দেখা যায় তিনি পজিটিভ । তবে এবার অবশ্য ভাইরাসের আক্রমণ খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি ৷ আর এই সমস্য়া বাদ দিলে তিনি ক্লিনিক্যালি ভালই ছিলেন । কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে রক্তে ​​এবং গলায় মাঙ্কিপক্স ভাইরাস রয়েছে ৷ গবেষণার প্রধান লেখক ডাঃ হিউ অ্যাডলার জানান যে তাঁরা এটা দেখে রীতিমত আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন যে এই ভাইরাসটি এত দীর্ঘ সময় ধরে গলা এবং রক্তে থাকতে পারে ।

তিনি জানান, ভাইরাসটি গলা এবং রক্তে থেকেই যায় এমনকী অসুখটা রীতিমত দীর্ঘ হতে পারে । সাধারণভাবে মাঙ্কিপক্সের রোগীদের ততদিনই সংক্রামক হিসাবে বিবেচনা করা হয় যতদিন তাঁর দেহে ফুসকুড়ি বা ক্ষত থাকে ৷ কিন্তু দ্বিতীয়বারের সংক্রমণের এই ঘটনা সামনে আসার পর গবেষকরা এই ব্যাপারে সতর্ক করেছেন ৷

আরও পড়ুন : গ্রিন নাকি ব্ল্যাক টি, কোন চা স্বাস্থ্যের পক্ষে আর্দশ ?

ডাঃ অ্যাডলার সতর্ক করেছেন এমনকী ফুসকুড়ি বা ক্ষত সৃষ্টি হওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও ভাইরাসটি সংক্রামিত হতে পারে কি না, তা নিশ্চিত করার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে । তিনি বলেন, "আমরা আমাদের গবেষণাপত্রে, এই রোগীদের ফুসকুড়ি বা ক্ষত সৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে সংক্রামক হওয়ার কোনও সংকেত দেখিনি । তবে এটি একটি খুব উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার যা এই রোগটি কীভাবে কাজ করে তা সাহায্য করে ।"

হায়দরাবাদ : এই মুহূর্তে যে অসুখটি সারা বিশ্ব জুড়ে চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে সেটি হল মাঙ্কিপক্স ৷ ক্রমশ এই রোগ নিয়ে একদিকে যেমন সামনে আসছে নানা তথ্য তেমনই দ্রুত বাড়ছে এর প্রকোপ ৷ মাঙ্কিপক্স প্রথমবার বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যেসব দেশে এটি সাধারণত পাওয়া যায় না । বর্তমানে প্রায় 300 জনের শরীরে ছড়িয়ে পরেছে এই রোগ এবং এক ডজনেরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারাত্মক ভাইরাস । এবার ফের সামনে এল একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য় ৷

সম্প্রতি 2018 থেকে 2021 সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে মোট সাতজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির কেস স্টাডির ওপর ভিত্তি করে একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন লিভারপুল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের গবেষকরা (Lancet Study on Monkeypox)৷ ডেলি মেইলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সাতটি ঘটনার মধ্যেই একটি ঘটনা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ৷ যেখানে একজন 40 বছর বয়সি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, ইনি নাইজেরিয়া থেকে এই রোগের শিকার হন এবং 76 দিন তিনি আক্রান্ত ছিলেন ৷

ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল । চিকিৎসকদের দাবি, ছয় সপ্তাহ পরে যখন তিনি অসুস্থতার পরে প্রথমবার যৌনমিলন করেছিলেন ৷ তখন তার শরীরে ফের ভাইরাস ফিরে এসেছিল । তিনি চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন, কীভাবে তাঁর লিম্ফ নোডগুলি ফুলে গিয়েছে । এই ফোলা পাস্টুলার ত্বকের ক্ষতগুলি মাঙ্কিপক্সেরই বৈশিষ্ট্য ।

ক্ষত চিহ্নিত করার পর ফের যখন তাঁর গলার পিসিআর পরীক্ষা করা হয় দেখা যায় তিনি পজিটিভ । তবে এবার অবশ্য ভাইরাসের আক্রমণ খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি ৷ আর এই সমস্য়া বাদ দিলে তিনি ক্লিনিক্যালি ভালই ছিলেন । কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে রক্তে ​​এবং গলায় মাঙ্কিপক্স ভাইরাস রয়েছে ৷ গবেষণার প্রধান লেখক ডাঃ হিউ অ্যাডলার জানান যে তাঁরা এটা দেখে রীতিমত আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন যে এই ভাইরাসটি এত দীর্ঘ সময় ধরে গলা এবং রক্তে থাকতে পারে ।

তিনি জানান, ভাইরাসটি গলা এবং রক্তে থেকেই যায় এমনকী অসুখটা রীতিমত দীর্ঘ হতে পারে । সাধারণভাবে মাঙ্কিপক্সের রোগীদের ততদিনই সংক্রামক হিসাবে বিবেচনা করা হয় যতদিন তাঁর দেহে ফুসকুড়ি বা ক্ষত থাকে ৷ কিন্তু দ্বিতীয়বারের সংক্রমণের এই ঘটনা সামনে আসার পর গবেষকরা এই ব্যাপারে সতর্ক করেছেন ৷

আরও পড়ুন : গ্রিন নাকি ব্ল্যাক টি, কোন চা স্বাস্থ্যের পক্ষে আর্দশ ?

ডাঃ অ্যাডলার সতর্ক করেছেন এমনকী ফুসকুড়ি বা ক্ষত সৃষ্টি হওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও ভাইরাসটি সংক্রামিত হতে পারে কি না, তা নিশ্চিত করার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে । তিনি বলেন, "আমরা আমাদের গবেষণাপত্রে, এই রোগীদের ফুসকুড়ি বা ক্ষত সৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে সংক্রামক হওয়ার কোনও সংকেত দেখিনি । তবে এটি একটি খুব উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার যা এই রোগটি কীভাবে কাজ করে তা সাহায্য করে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.