হায়দরাবাদ : 2020 সালে মহামারীর প্রথম পর্বে চিনে কোভিড আক্রান্ত 1,192 জন অংশগ্রহণকারীর ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল দ্য ল্যানসেটের ৷ দেখা গিয়েছে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত উন্নত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সাধারণ মানুষের তুলনায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য অনেকটাই খারাপ থেকে গিয়েছে ।
এটি বিশেষত লং কোভিড-এর সমস্যায় ভুগেছেন এমন অংশগ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে আরও প্রবল ৷ যাঁদের অসুস্থ হওয়ার দুই বছর পরেও ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট এবং ঘুমের অসুবিধা-সহ অন্তত একটি দু‘টি উপসর্গ থেকেই যায় । গবেষণার প্রধান লেখক অধ্যাপক বিন কাও বলেছেন, "আমাদের অনুসন্ধানগুলি ইঙ্গিত দেয় যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাঁরা কোভিডের আক্রমণ থেকে বেঁচে গিয়েছেন তাঁদের মধ্যেও একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক(প্রায় 50%) মানুষের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে প্রাথমিক সংক্রমণ থেকে তাঁরা সেরে উঠেছেন ঠিকই কিন্তু এটি থেকে সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধারের জন্য দুই বছরেরও বেশি সময় প্রয়োজন(COVID patients continue to suffer for 2 years)।"
প্রাথমিকভাবে অসুস্থ হওয়ার ছয় মাস পরে, 68 শতাংশ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেই অন্তত একটি দীর্ঘ কোভিড উপসর্গের খোঁজ মিলেছে । সংক্রমণের দুই বছর পরে, লক্ষণগুলির রিপোর্ট 55 শতাংশে নেমে এসেছিল। এর মধ্যে ক্লান্তি বা পেশীর দুর্বলতা এমন লক্ষণ যা ছয় মাসে 52 শতাংশ থেকে দুই বছরে 30 শতাংশে নেমে এসেছে ।
আরও পড়ুন : ওজন নিয়ে টেনশন ? আটটি সহজ যোগব্যায়ামে হতে পারে মুশকিল আসান
করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণ অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় জয়েন্টে ব্যথা, ধড়ফড়ানি, মাথা ঘোরা, এবং মাথাব্যথা, ব্যথা বা অস্বস্তি এবং উদ্বেগ, বিষন্নতা-সহ আরও বেশ কয়েকটি লক্ষণের সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল । দীর্ঘ কোভিডের শিকার যাঁরা তাঁরাও একইভাবে এই ধরনের সমস্য়ার শিকার সাধারণের তুলনায় বেশি হয়েছেন ৷ কাও জানান, দীর্ঘ মেয়াদী এই লক্ষণগুলির সম্পর্কে জানতে পারলে তা আগামিদিনে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে ৷