রায়গঞ্জ, 11 জানুয়ারি : বাকি ছিল মাত্র কয়েকঘণ্টা ৷ এরপরই মিলত চার হাত ৷ কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সবটাই ব্যর্থ হল ৷ বিয়ের আনন্দ বদলে গেল শোকের ছায়ায় ৷ ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল যুবকের ৷
রায়গঞ্জের ইসলামপুর থানার ধনতলা এলাকার বাসিন্দা মুজাক্কির ইসলাম ৷ গতকাল রাতে তাঁর নিকাহ হওয়ার কথা ছিল ৷ নিকাহের প্রস্তুতির কাজ যখন একদম শেষ, সেই মুহূর্তে স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে আচমকা উদ্ধার হয় ওই যুবকের মৃতদেহ ৷ ছেলের বাবা দবিরুল ইসলামের অভিযোগ, রবিবার তাঁর ছেলের জন্মদিন ছিল । তাই বিয়ের তারিখ হলেও তিনি রবিবার রাত বারোটার পর নিকাহর কাজ শেষ করতে অনুরোধ জানান মেয়ের বাড়ির সদস্য । কিন্তু তাঁরা বিষয়টি মানতে নারাজ ৷ এরপরই আচমকা বাড়ি থেকে ছেলেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি । তাঁর আরও অভিযোগ , তাঁর ছেলে কোচিং ক্লাস করতেন ধনতলা বাজারে । সেই কোচিং ক্লাস থেকে তাঁর ছেলের কোচিং এর সমস্ত জিনিসপত্র দুষ্কৃতীরা পুড়িয়ে দিয়েছে ।
অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের প্রতিনিধি তথা শওহর মহম্মদ সাব্বির আহমদ বলেন, ছেলেটির কোচিং ক্লাসে মেয়েটি টিউশন পড়ত । সেখান থেকে একটি সম্পর্ক তৈরি হয় দু'জনের মধ্যে । এনিয়ে একটা উত্তেজনাও তৈরি হয় । আর এরপরই হঠাৎ আজ রাতে মুজাক্কিরের মৃত্যুর খবর আসে । কিছুক্ষণ পর দেখা যায় চার-পাঁচশো মানুষ গ্রাম পঞ্চায়েতের মূল গেটের সামনে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং তালা ভাঙার চেষ্টা করে । বিক্ষোভ দেখায় । পরে পুলিশ এসে সামাল দেয় ।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি ছেলেটি ও মেয়েটির একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় । তারপরই এই দুই পরিবারের তরফে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিকাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । কিন্তু নিকাহের রাতেই ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে উঠেছে এলাকায় । ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সচিন মক্কার জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর মৃতদেহটি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ইসলামপুর মর্গে । মৃতর পরিবারের অভিযোগ হাতে পেলে তারপর বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তর কাজ শুরু করবে পুলিশ।