রায়গঞ্জ, 25 নভেম্বর: সোশাল মিডিয়ায় আপত্তিকর ছবি আপলোড করে দিয়েছেন স্বামী ৷ এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও গত সাত মাস ধরে কোনও লাভ হয়নি বলে এক যুবতীর ৷ প্রতিবাদে হাতের শিরা কেটে জেলা পুলিশের সদর দফতরের সামনেই আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তিনি ৷ শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়ায় ৷
রায়গঞ্জের এই এলাকাতেই রয়েছে জেলা পুলিশের সদর দফতর ৷ সেখানেই রয়েছে সাইবার ক্রাইম থানা ৷ ওই যুবতীর অভিযোগ, ওই থানাতেই তিনি সাত মাস আগে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এখনও পর্যন্ত ৷ সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ৷
ওই যুবতী জানান, তাঁর বাপেরবাড়ি বিহারে ৷ বছরখানেক আগে জেলার করণদিঘী থানার সাধনপুর গ্রামে তাঁর বিয়ে হয় ৷ প্রথমে সব ঠিক ছিল ৷ কিন্তু পরে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় ৷ স্বামীর অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ৷ সেই নিয়েই বিবাদ বাঁধত ৷ প্রতিবাদ করায় তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে দিনের পর দিন ৷ শেষে তাঁর আপত্তিকর ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন স্বামী ৷
ওই যুবতীর দাবি, এই নিয়ে তিনি প্রথমে করণদিঘী থানার দ্বারস্থ হন ৷ সেখানে সুবিচার না পেয়ে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন ৷ সাত মাস কেটে যাওয়ার পরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি ৷ বরং বারবার তাঁকে ঘোরানো হয়েছে ৷
তাঁর আরও দাবি, শুক্রবার তাঁকে থানায় ডাকা হয় স্বামী ও তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে বসে আলোচনা করার জন্য ৷ কিন্তু তিনি সেখানে এলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় ৷ তাই প্রতিবাদে তিনি হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ৷ এমনকী, স্বামীকে গ্রেফতার না করা হলে তিনি হাসপাতালেও যাবেন না বলে দাবি করেন ৷
এদিকে ওই খবরে হইচই পড়ে যায় জেলা পুলিশের সদর দফতরে ৷ সঙ্গে সঙ্গে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় আসেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার ডিএসপি ট্রাফিক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা । ওই গৃহবধুর সঙ্গে কথা বলেন রায়গঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার । পরে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা হয় ৷ রায়গঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার জানান, ওই যুবতীর অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করা হবে ৷
আরও পড়ুন: