রায়গঞ্জ, 29 মার্চ: 19 বছর পর মিলল ন্যায় ৷ 19 বছর পর দোষী পেল সাজা ৷ নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের (Kidnapping and Raping Minor Girl) মামলায় সাজা ঘোষণা করেছেন রায়গঞ্জ জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের বিচারক বসন্ত শর্মা ৷ মামলায় দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সোহরাব আলিকে 7 বছরের সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।
জানা গিয়েছে, 2004 সালের 8 সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে স্কুলে যাচ্ছিল ওই নাবালিকা। সেই সময় স্কুলের গেটের দাড়িয়ে ছিল অভিযুক্ত সোহরাব। অভিযোগ, প্রকাশ্য দিবালোকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় কালিয়াগঞ্জে। সেখান থেকে ওই নাবালিকাকে কলকাতার একটি গোপন ডেরায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে একটি ঘরে তাকে আটকে রেখে 4/4 দিন ধরে টানা ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই মামলা রুজু করে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলা চলছিল ৷ নির্যাতিতা পরিবারের তরফ থেকে বারবার দোষীর শাস্তির দাবি করা হয়েছিল ৷ অভিযোগ, সাজাপ্রাপ্ত ওই তৃণমূল নেতা উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন সদস্য। এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী এই নেতা স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনেরও ঘনিষ্ঠ। অভিযুক্ত সোহরাব আলি উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার রণহট্টা এলাকার বাসিন্দা।
দীর্ঘ 19 বছর ধরে মামলা চলার পর অবশেষে ন্যায়ের মুখ দেখেন নির্যাতিতা ৷ রায়গঞ্জ জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টে দোষীর 7 বছরের সাজা ঘোষণা করেছে ৷ সরকারি আইনজীবী অমিত দে সরকার বলেন, "দোষী সাব্যস্ত সোহরাব আলিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির 363 ধারায় 3 বছরের কারাদণ্ড ও 2 হাজার টাকা জরিমানা, 366 (এ) ধারায় 5 বছরের জেল ও 5 হাজার টাকা জরিমানা এবং 376 ধারায় 7 বছরের সাজা ও 10 হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক।"
আরও পড়ুন: জোড়া খুনের দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ আসানসোলে