রায়গঞ্জ, 10 জানুয়ারি : চারদিন ধরে মায়ের মরদেহ ঘরেই আগলে রাখলেন মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে । উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ঘটনা । মৃতদেহ পচনের দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন । মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশকে সবটা জানান স্থানীয় মানুষজন । চোপড়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে । দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার সুভাষনগর এলাকায় থাকতেন বৃদ্ধা কুসুম চক্রবর্তী । ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের ও ছেলের খাবার জোগাড় করতেন অশীতিপর বৃদ্ধা । একমাত্র ছেলে রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী মানসিক ভারসাম্যহীন । প্রতিবেশীদের সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা ছিল না মা-ছেলের । বৃদ্ধা কয়েকদিন ধরে ভিক্ষা করতে বের না হওয়ায় স্থানীয় মানুষজনের সন্দেহ হয় । এরমধ্যে বৃদ্ধার বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে । সন্দেহ আরও বৃদ্ধি পায় । আজ রামকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, দিন চারেক আগে তার মা মারা গিয়েছেন । মায়ের মরদেহ ঘরে আগলে রেখেছিলেন ।
আরও পড়ুন : দাসনগরে বাবার মৃতদেহ আগলে 2 দিন ধরে বসে যুবতি
রামকৃষ্ণ জানান, মা মারা যাওয়ার পর তিনি একজনকে জানিয়েছিলেন । কিন্তু প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কোনও সাহায্য না পেয়ে ঘরের ভিতরে দেহ রেখে দিয়েছিলেন । স্থানীয় বাসিন্দা নিখিল মণ্ডল জানান, "ওই বৃদ্ধাকে কয়েকদিন ধরে বাইরে দেখা যায়নি । আজ ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পাওয়ায় আমাদের সন্দেহ হয় । খোঁজখবর নিতেই জানা যায় কুসুম দেবী দিন চারেক আগে মারা গিয়েছেন ।"