ETV Bharat / state

নিকাহের পরদিনই শ্যালকের বাইক-টাকা-গয়না নিয়ে চম্পট - son in law take vehicles after day of marriage in Raiganj

নিকাহের পরদিনই বিবির টাকা-গয়না ও শ্যালকের বাইক নিয়ে চম্পট দিল যুবক ৷ রায়গঞ্জের বাজিতপুর এলাকার ঘটনা ৷ অভিযুক্ত যুবকের নাম আখতার আলি ৷

ঝরিনা
author img

By

Published : Sep 28, 2019, 12:42 PM IST

Updated : Sep 28, 2019, 12:53 PM IST

রায়গঞ্জ, 28 সেপ্টেম্বর : স্বপ্ন দেখেছিল দু'জনে একসঙ্গে সংসার করবেন ৷ কিন্তু, নিকাহের পরদিনই সুখের স্বপ্ন যে বিশ বাঁও জলে তলিয়ে যাবে তা ভাবতে পারেনি যুবতি৷ নিকাহের পরদিনই শ্যালকের মোটরবাইক, বিবির গয়না ও টাকা নিয়ে চম্পক দিল যুবক ৷ রায়গঞ্জের বাজিতপুর এলাকার ঘটনা ৷ অভিযুক্ত যুবকের নাম আখতার আলি ৷

রায়গঞ্জের বাজিতপুরের বাসিন্দা সমজান আলি ও আলিয়া খাতুনের একমাত্র মেয়ে ঝরিনা খাতুন ৷ কয়েক মাস আগে আখতার আলি নামে এক যুবকের সঙ্গে ফোনে আলাপ হয় তাঁর ৷ আখতার নিজেকে ইটাহার ব্লকের চুরামন এলাকার বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দেয় ৷ আলাপ ধীরে ধীর প্রেমে পরিণত হয় ৷ তিনবার দেখাও করে দু'জন ৷ এরপরে তাঁরা নিকাহের সিদ্ধান্ত নেয় ৷ প্রথমে সম্পর্ক মেনে না নিলেও পরে মেয়ের সুখের কথা ভেবে এই নিকাহতে মত দেয় ঝরিনার আব্বু ও আম্মি ৷ চলতি মাসে 11 তারিখে নিকাহ করেন তাঁরা ৷ এরপরে শওহরকে নিয়ে নিজের বাড়িতে যান ঝরনা ৷ এই পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও গোলবাঁধে তারপর দিন থেকেই ৷ নিকাহের পরদিনই সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশে শওহর দেখতে না পেয়ে তার খোঁজ শুরু করেন ঝরিনা ৷ এরপর তিনি লক্ষ্য করেন গায়েব তার সোনার দুলও৷ পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় দাদার বাইক ও বাড়ি থেকে নগদ 5 হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে আখতার ৷

Raiganj
সমজান আলি ও আলিয়া খাতুন

এরপরেই কপালে হাত পড়ে ঝুরিনার পরিবারের । বেরিয়ে আসে আসল সত্যি ৷ আখতারের দেওয়া ঠিকানা খোঁজ করা হলে জানা যায় সেটাও ভুয়ো । এমনকী যে রেজস্ট্রিট নিকাহ করেছে বলে দাবি করেছিল আখতার সেটিও ভুয়ো ৷ এরপরই গতকাল তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ঝুরিনার পরিবার ৷

ভিডিয়োয় শুনুন ঝরিনা খাতুনের বক্তব্য

এই বিষয়ে ঝারিনা বলেন, "আমাকে ভালো কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল আখতার । স্বপ্ন দেখিয়েছিল ভালো ভবিষ্যতের । কিন্তু, ও আমাদের নিকাহ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে ৷ আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে ৷ আমার বাড়িতে একরাত থাকার পর সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যায় ৷ আমি আর তার সঙ্গে সংসার করতে চাই না । ওর শাস্তি চাই ।"

আলিয়া খাতুন বলেন, "এমন একজন প্রতারকের পাল্লায় পড়বে আমরা তা ভাবতে পারিনি । এ সম্পর্ক প্রথমে আমরা মানতে না চাইলেও পরে মেয়ের খুশির জন্য মেনে নিয়েছিলাম ৷ আমরা ওর শাস্তি চাই ।"

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনসুর হাবিবুল্লাহ বলেন, "আমাদের ওই ছেলেটিকে দেখে প্রথমেই সন্দেহ হয়েছিল । আমরা বারবার বলার পরেও এই পরিবার তা মানতে চায়নি । তবে ওই ব্যক্তির খোঁজ করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি ।"

রায়গঞ্জ, 28 সেপ্টেম্বর : স্বপ্ন দেখেছিল দু'জনে একসঙ্গে সংসার করবেন ৷ কিন্তু, নিকাহের পরদিনই সুখের স্বপ্ন যে বিশ বাঁও জলে তলিয়ে যাবে তা ভাবতে পারেনি যুবতি৷ নিকাহের পরদিনই শ্যালকের মোটরবাইক, বিবির গয়না ও টাকা নিয়ে চম্পক দিল যুবক ৷ রায়গঞ্জের বাজিতপুর এলাকার ঘটনা ৷ অভিযুক্ত যুবকের নাম আখতার আলি ৷

রায়গঞ্জের বাজিতপুরের বাসিন্দা সমজান আলি ও আলিয়া খাতুনের একমাত্র মেয়ে ঝরিনা খাতুন ৷ কয়েক মাস আগে আখতার আলি নামে এক যুবকের সঙ্গে ফোনে আলাপ হয় তাঁর ৷ আখতার নিজেকে ইটাহার ব্লকের চুরামন এলাকার বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দেয় ৷ আলাপ ধীরে ধীর প্রেমে পরিণত হয় ৷ তিনবার দেখাও করে দু'জন ৷ এরপরে তাঁরা নিকাহের সিদ্ধান্ত নেয় ৷ প্রথমে সম্পর্ক মেনে না নিলেও পরে মেয়ের সুখের কথা ভেবে এই নিকাহতে মত দেয় ঝরিনার আব্বু ও আম্মি ৷ চলতি মাসে 11 তারিখে নিকাহ করেন তাঁরা ৷ এরপরে শওহরকে নিয়ে নিজের বাড়িতে যান ঝরনা ৷ এই পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও গোলবাঁধে তারপর দিন থেকেই ৷ নিকাহের পরদিনই সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশে শওহর দেখতে না পেয়ে তার খোঁজ শুরু করেন ঝরিনা ৷ এরপর তিনি লক্ষ্য করেন গায়েব তার সোনার দুলও৷ পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় দাদার বাইক ও বাড়ি থেকে নগদ 5 হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে আখতার ৷

Raiganj
সমজান আলি ও আলিয়া খাতুন

এরপরেই কপালে হাত পড়ে ঝুরিনার পরিবারের । বেরিয়ে আসে আসল সত্যি ৷ আখতারের দেওয়া ঠিকানা খোঁজ করা হলে জানা যায় সেটাও ভুয়ো । এমনকী যে রেজস্ট্রিট নিকাহ করেছে বলে দাবি করেছিল আখতার সেটিও ভুয়ো ৷ এরপরই গতকাল তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ঝুরিনার পরিবার ৷

ভিডিয়োয় শুনুন ঝরিনা খাতুনের বক্তব্য

এই বিষয়ে ঝারিনা বলেন, "আমাকে ভালো কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল আখতার । স্বপ্ন দেখিয়েছিল ভালো ভবিষ্যতের । কিন্তু, ও আমাদের নিকাহ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে ৷ আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে ৷ আমার বাড়িতে একরাত থাকার পর সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যায় ৷ আমি আর তার সঙ্গে সংসার করতে চাই না । ওর শাস্তি চাই ।"

আলিয়া খাতুন বলেন, "এমন একজন প্রতারকের পাল্লায় পড়বে আমরা তা ভাবতে পারিনি । এ সম্পর্ক প্রথমে আমরা মানতে না চাইলেও পরে মেয়ের খুশির জন্য মেনে নিয়েছিলাম ৷ আমরা ওর শাস্তি চাই ।"

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনসুর হাবিবুল্লাহ বলেন, "আমাদের ওই ছেলেটিকে দেখে প্রথমেই সন্দেহ হয়েছিল । আমরা বারবার বলার পরেও এই পরিবার তা মানতে চায়নি । তবে ওই ব্যক্তির খোঁজ করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি ।"

Intro:রায়গঞ্জ, ২৭ সেপ্টেম্বরঃ- এক রাতের জামাই, মেয়ের সংসার করার স্বপ্ন ভাঙ্গার পাশাপাশি সর্বস্ব নিয়ে পগারপার হয়ে গেল। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের বাজিতপুর এলাকায়। এক রাতের জামাইয়ের খোঁজে থানা পুলিশ সহ প্রশাসনে আধিকারিকদের দরজায় দরজায় ঘুরছে হতভাগ্য শ্বশুর শাশুড়ি। প্রতারক জামাইয়ের এমন কাজে হতবাক এলাকাবাসী। দ্রুত ওই প্রতারকের গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সমজান আলী ও আলিয়া খাতুন এর মেয়ে ঝারিনা খাতুন বেশ কিছুদিন আগে এক প্রতারকের পাল্লায় পড়ে। দীর্ঘ সাত-আট মাস ধরেই তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে আকতার আলী নামক এক প্রবঞ্চক। মিষ্টি মিষ্টি কথায় ঝারিনাকে ভুলিয়ে বিয়ের আশ্বাস দেয় আখতার। চলতি মাসের 11 তারিখ রায়গঞ্জে ঝারিনার সঙ্গে দেখা করে সে।সেদিনই তারপর তাকে স্থানীয় আদালতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার নামে একটি এফিডেভিটে সই করে আখতার। ঝারিনাকে সে জানায় যে তার বাড়ি ইটাহার ব্লকের চুরামন এলাকায়। বিয়ের পর সেদিনই চুরামনে নিয়ে যায় আখতার। যদিও কোন বাড়িতে না ঢুকিয়ে দূর থেকে একটি বাড়ি কে উদ্দেশ্য করে নিজের বাড়ি পরিচয় দিয়ে ফিরে আসে দুজন। এরপর বাজিতপুরের শ্বশুরবাড়িতে ওঠে আখতার। প্রথমে জামাইকে দেখে প্রচন্ড রেগে গেলেও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জামাইকে মেনে নেন শশুর শাশুড়ি। বিয়ের খুশিতে প্রতিবেশিদের বাড়িতে ডেকে পোলাও ও মাংস রেঁধে খাওয়ান আলিয়া দেবী। তবে সকাল হতেই ঝারিনার দাদার মোটরবাইক, তার কানের দুল ও নগদ 5 হাজার টাকা সহ বাড়িতে থাকা সমস্ত মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় জামাই।ঝারিনার দাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সও চুরি করে নিয়ে যায় সে। বাড়ির লোকেরা ঘুম থেকে ওঠার পর যখন বুঝতে পারেন যে প্রতারক জামাই তার মেয়েকে এবং বাড়ির লোকেদের ঠকিয়েছে তখন আর কিছুই করার থাকে না।ঘটনার পর থেকেই রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ জানানোর জন্য ঘুরতে থাকেন ঝারুনার মা বাবা। যদিও আজও অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি তারা। অভিযোগ পত্র লিখে আগামী কালকের মধ্যেই থানায় জমা করার চেষ্টা করবেন তারা। তবে এ ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত ঝারিনাদেবী ও তার পরিবার এমন প্রতারকের পাল্লায় প্রেমের ফাঁদে পড়ে পড়তে হবে তা স্বপ্নেও ভাবেনি তারা। আগামীতে যাতে কোনো মেয়েকে এমন প্রতারকদের পাল্লায় না পড়তে হয় সেই দোয়াই করছে ঝারিনা ও তার পরিবার।

এই বিষয়ে ঝারিনা বলেন,আমাকে মিস্টি মিস্টি কথা বলে প্রেমের ফাদে ফেলেছিল আখতার।স্বপ্ন দেখিয়েছিল ভালো ভবিষ্যতের।কিন্তু আমাকে বিয়ে করে বাড়িতে এসে একরাত থাকার পর সকালেই সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যায় সে।আমি আর তার সঙ্গে সংসার করতে চাই না।ওর শাস্তি আমি চাই।

তার মা আলিয়াদেবী বলেন,আমাদের মেয়ে যে এমন একজন প্রতারকের পাল্লায় পড়বে তা আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।বাড়িতে আসার পর আমরা প্রথমে না মানতে চাইলেও পরে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মেনে গিয়েছিলাম। আমরা ওর শাস্তি চাই।

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনসুর হাবিবুল্লাহ বলেন,আমাদের ওই ছেলেটিকে দেখে প্রথমেই সন্দেহ হয়েছিল।আমরা বারবার বলার পরেও এই পরিবার তা মানতে চায়নি।তবে ওই ব্যক্তির খোজ করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।

বাইটঃ- ঝারিনা খাতুন,,আলিয়া খাতুন,,মনসুর হাবিবুল্লাহ।। Body:SbConclusion:Zj
Last Updated : Sep 28, 2019, 12:53 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.