রায়গঞ্জ, 28 সেপ্টেম্বর : স্বপ্ন দেখেছিল দু'জনে একসঙ্গে সংসার করবেন ৷ কিন্তু, নিকাহের পরদিনই সুখের স্বপ্ন যে বিশ বাঁও জলে তলিয়ে যাবে তা ভাবতে পারেনি যুবতি৷ নিকাহের পরদিনই শ্যালকের মোটরবাইক, বিবির গয়না ও টাকা নিয়ে চম্পক দিল যুবক ৷ রায়গঞ্জের বাজিতপুর এলাকার ঘটনা ৷ অভিযুক্ত যুবকের নাম আখতার আলি ৷
রায়গঞ্জের বাজিতপুরের বাসিন্দা সমজান আলি ও আলিয়া খাতুনের একমাত্র মেয়ে ঝরিনা খাতুন ৷ কয়েক মাস আগে আখতার আলি নামে এক যুবকের সঙ্গে ফোনে আলাপ হয় তাঁর ৷ আখতার নিজেকে ইটাহার ব্লকের চুরামন এলাকার বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দেয় ৷ আলাপ ধীরে ধীর প্রেমে পরিণত হয় ৷ তিনবার দেখাও করে দু'জন ৷ এরপরে তাঁরা নিকাহের সিদ্ধান্ত নেয় ৷ প্রথমে সম্পর্ক মেনে না নিলেও পরে মেয়ের সুখের কথা ভেবে এই নিকাহতে মত দেয় ঝরিনার আব্বু ও আম্মি ৷ চলতি মাসে 11 তারিখে নিকাহ করেন তাঁরা ৷ এরপরে শওহরকে নিয়ে নিজের বাড়িতে যান ঝরনা ৷ এই পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও গোলবাঁধে তারপর দিন থেকেই ৷ নিকাহের পরদিনই সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশে শওহর দেখতে না পেয়ে তার খোঁজ শুরু করেন ঝরিনা ৷ এরপর তিনি লক্ষ্য করেন গায়েব তার সোনার দুলও৷ পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় দাদার বাইক ও বাড়ি থেকে নগদ 5 হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে আখতার ৷
এরপরেই কপালে হাত পড়ে ঝুরিনার পরিবারের । বেরিয়ে আসে আসল সত্যি ৷ আখতারের দেওয়া ঠিকানা খোঁজ করা হলে জানা যায় সেটাও ভুয়ো । এমনকী যে রেজস্ট্রিট নিকাহ করেছে বলে দাবি করেছিল আখতার সেটিও ভুয়ো ৷ এরপরই গতকাল তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ঝুরিনার পরিবার ৷
এই বিষয়ে ঝারিনা বলেন, "আমাকে ভালো কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল আখতার । স্বপ্ন দেখিয়েছিল ভালো ভবিষ্যতের । কিন্তু, ও আমাদের নিকাহ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে ৷ আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে ৷ আমার বাড়িতে একরাত থাকার পর সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যায় ৷ আমি আর তার সঙ্গে সংসার করতে চাই না । ওর শাস্তি চাই ।"
আলিয়া খাতুন বলেন, "এমন একজন প্রতারকের পাল্লায় পড়বে আমরা তা ভাবতে পারিনি । এ সম্পর্ক প্রথমে আমরা মানতে না চাইলেও পরে মেয়ের খুশির জন্য মেনে নিয়েছিলাম ৷ আমরা ওর শাস্তি চাই ।"
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনসুর হাবিবুল্লাহ বলেন, "আমাদের ওই ছেলেটিকে দেখে প্রথমেই সন্দেহ হয়েছিল । আমরা বারবার বলার পরেও এই পরিবার তা মানতে চায়নি । তবে ওই ব্যক্তির খোঁজ করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি ।"