রায়গঞ্জ, 6 মে : রায়গঞ্জ পৌরসভার 21 ও 27 নম্বর ওয়ার্ডের দুই তৃণমূল কাউন্সিলার কল্পিতা মজুমদার ও প্রসেনজিৎ সরকারের ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে ৷ তাঁরা দুজনেই সাংবিধানিক বিধি উলঙ্ঘন করেছেন বলে দাবি বিজেপির জেলা সভাপতির ৷ পাশাপাশি দলের ওই দুই কাউন্সিলরাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে পাল্টা জানালেন রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকার।
রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের এই দুই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর তুলনায় বিজেপি প্রার্থীকে বেশি ভোট দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ওই দুই কাউন্সিলার ৷ তার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপিকে ভোটদানকারী ভোটাররা তথা 21 ও 27 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে কল্পিতা মজুমদার ও প্রসেনজিৎ সরকার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন ৷ সেখানে বলা হয়, "রায়গঞ্জে যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন , তাদের যদি মনুষত্ব্য থাকে, তাহলে তারা কোনওরকম বিপদে পড়লে তৃণমূল কর্মীদের কাছে আসবেন না। " আর এই পোস্টকে ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক ৷ বিরোধীদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন , আদৌ তারা জননেতা নাকি নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজনীতি করেন ৷
![কল্পিতা মজুমদারের ফেসবুক পোস্ট](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/11658482_wb_kk.jpg)
এবিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার জানান, " একজন কাউন্সিলার জনপ্রতিনিধি। সাংবিধানিক স্বীকৃত পদ। যারা ভোট দিয়ে তাঁকে জিতিয়েছেন তারাই শুধু সুযোগ সুবিধা পাবেন তা তো হতে পারে না। এটা সাংবিধানিক বিধি উলঙ্ঘন করা হয়েছে । তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ সরকারকে সাংবিধানিক ভাবেই এর জবাব দিতে হবে ৷ "
![প্রসেনজিৎ সরকারের ফেসবুক পোস্ট](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/11658482_wb_bvgfdfd.jpg)
উত্তর দিনাজপুর জেলা আইএনটিটিইউসি'র সভাপতি তথা রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকার জানান, " আমাদের কাউন্সিলাররা সারা বছর পরিশ্রম করে সাধারণের সুবিধা-অসুবিধা দেখেন ৷ ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর তাদের কারও কারও মনে বেদনা ও ক্ষোভ হতেই পারে ৷ তবে এই ধরনের পোস্ট কখনওই কাম্য না ৷ দল ও পৌরসভার পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ৷ " যদিও এই নিয়ে কল্পিতা মজুমদার ও প্রসেনজিৎ সরকারের কেনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ৷
আরও পড়ুন : বিধান-জ্যোতির পর তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা, হতে পারবেন রূপকার?