দুর্গাপুর, 6 ফেব্রুয়ারি: পেটে খিচুনি। তারপর বমি। একজন বা দু'জন নয় ধীরে ধীরে গোটা গ্রামেই অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন বহু মানুষ । বুধবার রাত বাড়তেই বাড়তে থাকে ডায়েরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা । এখনও পর্যন্ত 27 জনকে ভর্তি করা হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে । অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন আরও 7 জন । কাঁকসার মলানদিঘির আকন্দারায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক । স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়া হয়নি ৷ এতজন অসুস্থ হওয়ার পরও সিল করা হয়নি এলাকার টিউবওয়েল।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর থেকেই বমি শুরু হয় গ্রামের বহু মানুষের। সন্ধ্যার পর থেকে বাড়তে থাকে অসুস্থের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এলাকার 27 জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতাল ও মলানদিঘির একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এলাকায় অসুস্থ আরও সাত জনকে দেওয়া হচ্ছে ওষুধ ।
স্থানীয় বাসিন্দা লাল্টু হাজরার অভিযোগ, "আমাদের বাড়িতে সবাই অসুস্থ । গোটা সেদ্ধ উৎসব শেষ হওয়ার পর দিন থেকেই বমি শুরু হয়। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হল যে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই ভর্তি করতে হয়। তারপরও ট্যাঙ্কারে করে পরিশ্রুত পানীয় জল এলাকায় দেওয়া হয়নি। টিউবওয়েলের জল খেতে হচ্ছে । কী কারণে এই ঘটনা ঘটল আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। চরম আতঙ্কে রয়েছি ।"
এই বিষয়ে মলানদিঘি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক রাজীব নন্দী বলেন," এলাকায় ডায়েরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত 27 জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । আরও বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই রয়েছেন । তাঁদের নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার জন্য এবং ওআরএস মিশিয়ে খাওয়ার জন্য জানানো হয়েছে । এলাকার পুকুরে ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হবে এবং টিউবয়েলগুলি সিল করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।"
মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সুনীতি চট্টোপাধ্যায় বলেন,"বুধবার রাত থেকেই আমাদের নজরদারি রয়েছে গোটা এলাকায় । এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়ার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে জানানো হয়েছে । চিকিৎসকরা এখন গ্রামটিতে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছেন ।"