রায়গঞ্জ, 6 জুন: সম্প্রসারণের সময় রাস্তার মাঝে পড়ে যায় একটি গাছ। গাছটিকে কেটে না ফেলে সযত্নে তুলে নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় লাগিয়ে দেওয়া হয়। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পৌরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি সবুজ রক্ষার বিষয়টিও মাথায় রেখে কাজ করছেন রায়গঞ্জ পৌরসভার কর্মীরা।
শহরের রেল স্টেশন যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই জবরদখলের জেরে জেরবার। রাস্তার পরিসর নিত্যদিন ছোট হয়ে যেতে বসেছে। এই রাস্তার মুখেই প্রায় 10 বছর আগে তৎকালীন পূর্ব বোর্ডের উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। সম্প্রতি রায়গঞ্জ পৌরসভা রেলস্টেশনের যাতায়াতের এই রাস্তাটি চওড়া করে একমুখী যান চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী জবর দখল থেকে রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। দু-তিন দিন আগে থেকে বরাত পাওয়া এজেন্সি এই কাজ শুরু করে দেয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির ঠিক পেছনে একটি ছোটো বকুল গাছ দীর্ঘদিন ধরে ছিল। সেই গাছটি রাস্তা চওড়া করার জন্য কাটার উপক্রম হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে পুরসভার সাথে বরাত পাওয়া এজেন্সি কথা বলতেই নড়েচড়ে বসে আধিকারিকরা। পুরসভা গাছটিকে না কেটে সেটিকে অন্যত্র তুলে নিয়ে গিয়ে বাঁচানোর ব্যাপারে সক্রিয় হয়। এজেন্সিকে গাছটি পুনঃস্থাপনের জন্য ব্যবস্থা করার কথা বলেন পুরসভার চেয়ারম্যান। সেইমতো শনিবার পুরসভার JCB কে কাজে লাগিয়ে গাছ থেকে উঠিয়ে দেহশ্রী মোড়ে সংলগ্ন এলাকায় লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে ওই এজেন্সির ঠিকাদার বলাই পাল বলেন, “ওই রাস্তা চওড়া করে ডিভাইডারের উপরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি বসানো হবে। চারিদিকে আরও সাজানো হবে। এই কাজের জন্য ওই গাছটি কাটার উপক্রম হয়েছিল ।সেটাই বর্তমানে পৌরসভার সাহায্য নিয়ে JCB ব্যবহার করে মাটি শুদ্ধ গাছটিকে তুলে ক্ষুদিরাম বোস রোডে রাস্তার পাশে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।“
এ বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “ওই গাছটিকে বাঁচানোর পাশাপাশি ওই এলাকার রাস্তার ওপর উন্নয়নের কাজ আমাদের করতেই হতো। বর্তমানে রাস্তার জবরদখল সরিয়ে চওড়া করার পাশাপাশি গাছটিকে বাঁচানোর চেষ্টা আমরা করেছি। শুধুমাত্র ওই গাছটি নয় এলাকায় যেকোনো জায়গায় এই ধরনের গাছ থাকলে আমরা সেটিকে বাঁচানোর চেষ্টা বারবার করে থাকি। পরবর্তীতে রাস্তার কাজ শেষ হলে ওই এলাকা দিয়ে আমরা আরো অনেক বৃক্ষরোপণ করব।“