ইসলামপুর, 1 অক্টোবর: এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক নাবালকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা ওই শিশুকন্যার বয়স পাঁচ বছর ৷ শনিবার সন্ধের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত নাবালককে আটক করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে থাকায় শিশুকন্যা তার মায়ের সঙ্গে থাকত। । শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসা স্কুলের পড়ুয়া। পাড়ার এক বছর চোদ্দোর নাবালক চকলেট খাওয়ানোর নাম করে তার বাড়ির ছাদে নিয়ে গিয়ে শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় নির্যাতিতা মেয়েটিকে তার বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যায় ওই নাবালক। শিশুটির পায়ে রক্ত দেখে সন্দেহ হয় মায়ের। তখন মা কারণ জানতে চাইলে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে পুরো বিষয়টি জানায়।
মেয়েটির শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তড়িঘড়ি তার মা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার মানুষ ওই নাবালককে ধরে বেঁধে রাখে। খবর দেওয়া হয় ইসলামপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে নাবালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওই নাবালকের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা শিশুটির মা। বর্তমানে ওই শিশুকন্যাটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, মেয়েটির বাবা ভিন রাজ্যে কাজ করেন। বাড়িতে মা আর মেয়ে থাকে। পাড়ারই এক নাবালক তাকে চকলেট খাওয়ার নাম করে তার বাড়ির ছাদে ওই বাচ্চাটিকে ডেকে নিয়ে যায় ৷ তারপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। এই খবর জানাজানি হতেই তাঁরা ওই নাবালককে গাছে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেন ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ওই নাবালকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা ৷
আরও পড়ুন: চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা অভিযুক্তের