রায়গঞ্জ, 16 মেঃ- রাজস্থান থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রায়গঞ্জের হেমতাবাদের এক শ্রমিকের।আজ ভোররাতে রাজস্থান থেকে ট্রাকে ফেরার সময় একটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।মৃতের নাম আকবর আলি(২২)।তাঁর বাড়ি হেমতাবাদ ব্লকের নওদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।ঘটনার খবর পেয়েই উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ওই যুবকের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।ময়নাতদন্তের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসার কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে,ওই যুবক আকবর আলি দীর্ঘ দিন ধরে রাজস্থানে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। সেখানে প্যাণ্ডেল তৈরির কাজ করতেন তিনি। বাড়িতে বাবা মা ও তিন বোন রয়েছেন। লকডাউনের জন্য রাজস্থান থেকে বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না ওই যুবক। অনেক কষ্টে বাড়ি আসার জন্য শেষমেশ একটি ট্রাকের খোজ পেয়ে তাতে চেপে বসেন ওই যুবক ও তাঁর গ্রামের আরও তিন শ্রমিক।কিন্তু ভোররাতে তাঁদের ট্রাকটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যায়।সেখানে থাকা বাকি শ্রমিকেরা সামান্য জখম হলেও ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় আকবর আলির।
এই খবর বাড়িতে আসতেই শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই যুবকের মা-বাবা ও পরিবারের বাকি সদস্যরা।হেমতাবাদের BDO পৃথ্বীশ দাস ও থানার OC দিলীপ রায় ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম পাল সহ একাধিক ব্যক্তি আকবর আলির বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়ে এসেছেন।
পৃথ্বীশ বাবু বলেন, " নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর এলাকার বাসিন্দা আকবর আলি রাজস্থান থেকে ট্রাকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। পরবর্তীতে ওই ট্রাকটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় আকবরের। এদিন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সমস্ত রকমের সাহায্য করার আশ্বাস দিলাম। পাশাপাশি আকবর আলির দেহ দ্রুত বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।গৌতম বাবু বলেন, আকবর আলির পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি এক লাখ টাকার চেক এঁদের হাতে আপাতত তুলে দিয়েছি। পরবর্তীতে আর কোনও সাহায্য প্রয়োজন হলে অবশ্যই পাশে থাকব। "