রায়গঞ্জ, 2 মে : বৈশাখ মাসের শুরুতেই বিয়ে ঠিক হয়েছিল মেয়ের । কার্ড ছাপানো, ক্যাটারিং বুক করা, বিয়ে বাড়ি ভাড়া সবই সেরে ফেলেছিলেন উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়ার সুবল দাস । টাকা পয়সাও দিয়ে দিয়েছিলেন সব জায়গায় । কিন্তু হঠাৎই লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় বিয়ে বন্ধ হয়ে যায় । কোরোনা সংক্রমণ রুখতে জমায়েত বন্ধ থাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানও সম্ভব নয় । যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা কেউ জানে না । ফলে এত টাকা পয়সা খরচ করে এখন চরম দুর্ভোগে সুবলবাবুর পরিবার ।
রায়গঞ্জ ব্লকের কর্ণজোড়া এলাকার বোগ্রামের বাসিন্দা কমলাকান্ত দাসের ছেলে কুমেশ্বর দাসের সঙ্গে সুবলবাবুর মেয়ে শিলা দাসের বিয়ে ঠিক হয়েছিল । লকডাউনের অনেক আগেই তাঁদের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গেছিল । কিন্তু হঠাৎ মার্চের শুরু থেকে কোরোনার দাপট শুরু হয় । পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার । এরপর 14 এপ্রিল লকডাউন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কোরোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফের লকডাউনের সময়সীমা বাড়ে । আর এতেই সমস্যায় পড়েন সুবলবাবু । ভেস্তে যায় মেয়ের বিয়ে ।
একদিকে লকডাউন । রোজগার বন্ধ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের । কাজ থাকলেও বেতন হচ্ছে না অনেকের । কেউ আবার নির্দিষ্ট পরিমাণের কম বেতন পাচ্ছেন । এই পরিস্থিতিতে কম-বেশি আর্থিক সমস্যায় প্রায় সব মধ্যবিত্তই । নিম্ন মধ্যবিত্তদের অবস্থা আরও খারাপ । এমন সময় মেয়ের বিয়ের জন্যই চারিদিকে টাকা দিয়ে চরম দুর্ভোগে সুবলবাবু । সে টাকা তিনি এখন ফেরতও পাচ্ছেন না । এদিকে বিয়ের অনুষ্ঠানও এখন সম্ভব নয় ।
এবিষয়ে সুবলবাবুর স্ত্রী শিখা দাস জানান, লকডাউনের জন্য মেয়ের বিয়ে পিছিয়ে গেল । বিয়ের সমস্ত জোগাড় হয়ে গেছিল । সবাইকে টাকা-পয়সাও দেওয়া হয়ে গেছিল । শুধু লোক নিমন্ত্রণ বাকি ছিল । যাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানের বায়না দেওয়া হয়েছিল তাঁরা যদি টাকা ফেরত না দেন তাহলে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে ।