ETV Bharat / state

খড়-মাটির ক্ষুদ্র দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে গিনেস বুকে নাম তুলতে চান রায়গঞ্জের মানস - the Guinness Book of World Records

ছোটোবেলা থেকেই আঁকার প্রতি আকর্ষণ ছিল মানসবাবুর । তবে সেই অর্থে কোনও প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়নি তাঁর ৷ দেখে দেখে অনেকটাই শিখেছিলেন ৷ ধীরে ধীরে খালি চোখে মাটি এবং খড় দিয়ে মা দুর্গার রূপ তৈরি করা তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়ায় । গত বছর প্রায় ছয় মিলিমিটার উচ্চতার দুর্গা মূর্তি বানিয়েছিলেন ৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তা পাঠিয়েছিলেন । কিন্তু একটি বিভাগে খামতি থাকায় সেবার গিনেস বুকে তাঁর নাম ওঠেনি । ছোটোবেলা থেকেই আঁকার প্রতি আকর্ষণ ছিল মানসবাবুর । তবে সেই অর্থে কোনও প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়নি তাঁর ৷ দেখে দেখে অনেকটাই শিখেছিলেন ৷ ধীরে ধীরে খালি চোখে মাটি এবং খড় দিয়ে মা দুর্গার রূপ তৈরি করা তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়ায় । গত বছর প্রায় ছয় মিলিমিটার উচ্চতার দুর্গা মূর্তি বানিয়েছিলেন ৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তা পাঠিয়েছিলেন । কিন্তু একটি বিভাগে খামতি থাকায় সেবার গিনেস বুকে তাঁর নাম ওঠেনি ।

ক্ষুদ্র দুর্গা প্রতিমা
ক্ষুদ্র দুর্গা প্রতিমা
author img

By

Published : Oct 17, 2020, 7:42 PM IST

রায়গঞ্জ, 17 অক্টোবর : প্রতি বছর দুর্গাপুজোর সময় রায়গঞ্জের চশমা ব্যবসায়ী মানস রায় সকলকে তাক লাগিয়ে দেন ৷ মাটি এবং খড় দিয়ে তৈরি করেন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম দুর্গা প্রতিমা ৷ তাঁর লক্ষ্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তোলা ৷ তাই নিজের ব্যস্ততম সময় থেকেও টাইম বের করে প্রতিমা তৈরি করেন তিনি ৷ এই কাজে দক্ষতা অর্জন করতে চান তিনি । যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁর নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে থাকবে কিনা তা জানা নেই, তবে চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে নারাজ মানসবাবু ।

রায়গঞ্জের অনতিদূরে বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা মানস বাবু ৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে রায়গঞ্জেই বসবাস করেন । কারণ অবশ্যই মেয়ের পড়াশোনা, খেলাধুলা ও নিজের চশমার দোকানের ব্যবসা ৷ মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী ৷ ক্রিকেট নিয়েও তার আগ্রহ কম নেই ৷ ইতিমধ্যেই ক্রিকেটে যথেষ্ট নামডাক করেছে । স্ত্রী-কন্যা নিয়ে সুখের সংসার মানসবাবুর ।

ছোটোবেলা থেকেই আঁকার প্রতি আকর্ষণ ছিল মানসবাবুর । তবে সেই অর্থে কোনও প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়নি তাঁর ৷ দেখে দেখে অনেকটাই শিখেছিলেন ৷ ধীরে ধীরে খালি চোখে মাটি এবং খড় দিয়ে মা দুর্গার রূপ তৈরি করা তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়ায় । গত বছর প্রায় ছয় মিলিমিটার উচ্চতার দুর্গা মূর্তি বানিয়েছিলেন ৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তা পাঠিয়েছিলেন । কিন্তু একটি বিভাগে খামতি থাকায় সেবার গিনেস বুকে তাঁর নাম ওঠেনি ।

মানসবাবু মাটি এবং খড় দিয়ে তৈরি করেন ক্ষুদ্রতম দুর্গা প্রতিমা

এবছর তাই নতুন উদ্যম নিয়ে নেমেছেন মানসবাবু ৷ এবার মাত্র 3 মিলিমিটার এর দুর্গা বানিয়েছেন । পাশাপাশি বানিয়েছেন কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর মূর্তিও ৷ তাদের উচ্চতা মাত্র 2 মিলিমিটার । সমস্তটাই খালি চোখে রাতের পর রাত জেগে তৈরি করেছেন মানসবাবু । সাধারণত খড় এবং মাটি দিয়ে মা দুর্গার যে সকল রূপ আমরা দেখে থাকি সেগুলো উচ্চতায় যথেষ্ট বড় হয় । কিন্তু মানসবাবুর তৈরি এই মৃন্ময়ী মায়ের রূপ অত্যন্ত ছোটো ৷ মানসবাবুর দাবি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের আপাতত সবথেকে ছোটো যে মূর্তিটি আছে তার উচ্চতা 5.5 মিলিমিটার । এত ক্ষুদ্র মূর্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে চোখের ওপর প্রভাব পড়ে ঠিকই । কিন্তু মানসবাবুর দাবি এটা পুরোপুরি নেশা । এটাই তাঁকে আনন্দ দেয় । আপাতত গিনেস বুকে তাঁর মূর্তি পাঠানোর প্রস্তুতি করছেন তিনি ৷

ক্ষুদ্র দুর্গা প্রতিমা
মূর্তি তৈরি করছেন মানসবাবু

মানসবাবু বলেন, ‘‘আমি অনেক ছোটো থেকেই আঁকার প্রতি আকর্ষিত ছিলাম । বহু জায়গায় নিজের হাতে তৈরি করা পোর্ট্রেট দিয়েছি । বর্তমানে মা দুর্গার যে ছোট মৃন্ময়ী রূপ আমি বানিয়েছি তা অত্যন্ত কষ্ট করে তৈরি করতে হয়েছে । তবে সব কষ্ট ভুলে যাই যখন আমার কাজের সবাই বাহবা দেয় ৷ গত বছর 6 মিলিমিটার উচ্চতার মায়ের মূর্তি তৈরি করেছিলাম । সেবারে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠেনি । তবে এবার আশা করছি নাম উঠবে ।’’

রায়গঞ্জ, 17 অক্টোবর : প্রতি বছর দুর্গাপুজোর সময় রায়গঞ্জের চশমা ব্যবসায়ী মানস রায় সকলকে তাক লাগিয়ে দেন ৷ মাটি এবং খড় দিয়ে তৈরি করেন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম দুর্গা প্রতিমা ৷ তাঁর লক্ষ্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তোলা ৷ তাই নিজের ব্যস্ততম সময় থেকেও টাইম বের করে প্রতিমা তৈরি করেন তিনি ৷ এই কাজে দক্ষতা অর্জন করতে চান তিনি । যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁর নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে থাকবে কিনা তা জানা নেই, তবে চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে নারাজ মানসবাবু ।

রায়গঞ্জের অনতিদূরে বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা মানস বাবু ৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে রায়গঞ্জেই বসবাস করেন । কারণ অবশ্যই মেয়ের পড়াশোনা, খেলাধুলা ও নিজের চশমার দোকানের ব্যবসা ৷ মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী ৷ ক্রিকেট নিয়েও তার আগ্রহ কম নেই ৷ ইতিমধ্যেই ক্রিকেটে যথেষ্ট নামডাক করেছে । স্ত্রী-কন্যা নিয়ে সুখের সংসার মানসবাবুর ।

ছোটোবেলা থেকেই আঁকার প্রতি আকর্ষণ ছিল মানসবাবুর । তবে সেই অর্থে কোনও প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়নি তাঁর ৷ দেখে দেখে অনেকটাই শিখেছিলেন ৷ ধীরে ধীরে খালি চোখে মাটি এবং খড় দিয়ে মা দুর্গার রূপ তৈরি করা তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়ায় । গত বছর প্রায় ছয় মিলিমিটার উচ্চতার দুর্গা মূর্তি বানিয়েছিলেন ৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তা পাঠিয়েছিলেন । কিন্তু একটি বিভাগে খামতি থাকায় সেবার গিনেস বুকে তাঁর নাম ওঠেনি ।

মানসবাবু মাটি এবং খড় দিয়ে তৈরি করেন ক্ষুদ্রতম দুর্গা প্রতিমা

এবছর তাই নতুন উদ্যম নিয়ে নেমেছেন মানসবাবু ৷ এবার মাত্র 3 মিলিমিটার এর দুর্গা বানিয়েছেন । পাশাপাশি বানিয়েছেন কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর মূর্তিও ৷ তাদের উচ্চতা মাত্র 2 মিলিমিটার । সমস্তটাই খালি চোখে রাতের পর রাত জেগে তৈরি করেছেন মানসবাবু । সাধারণত খড় এবং মাটি দিয়ে মা দুর্গার যে সকল রূপ আমরা দেখে থাকি সেগুলো উচ্চতায় যথেষ্ট বড় হয় । কিন্তু মানসবাবুর তৈরি এই মৃন্ময়ী মায়ের রূপ অত্যন্ত ছোটো ৷ মানসবাবুর দাবি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের আপাতত সবথেকে ছোটো যে মূর্তিটি আছে তার উচ্চতা 5.5 মিলিমিটার । এত ক্ষুদ্র মূর্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে চোখের ওপর প্রভাব পড়ে ঠিকই । কিন্তু মানসবাবুর দাবি এটা পুরোপুরি নেশা । এটাই তাঁকে আনন্দ দেয় । আপাতত গিনেস বুকে তাঁর মূর্তি পাঠানোর প্রস্তুতি করছেন তিনি ৷

ক্ষুদ্র দুর্গা প্রতিমা
মূর্তি তৈরি করছেন মানসবাবু

মানসবাবু বলেন, ‘‘আমি অনেক ছোটো থেকেই আঁকার প্রতি আকর্ষিত ছিলাম । বহু জায়গায় নিজের হাতে তৈরি করা পোর্ট্রেট দিয়েছি । বর্তমানে মা দুর্গার যে ছোট মৃন্ময়ী রূপ আমি বানিয়েছি তা অত্যন্ত কষ্ট করে তৈরি করতে হয়েছে । তবে সব কষ্ট ভুলে যাই যখন আমার কাজের সবাই বাহবা দেয় ৷ গত বছর 6 মিলিমিটার উচ্চতার মায়ের মূর্তি তৈরি করেছিলাম । সেবারে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠেনি । তবে এবার আশা করছি নাম উঠবে ।’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.