রায়গঞ্জ, 1 জুলাই : খুনের ঘটনার ছয় বছর পরঅভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ । আজ চন্ডীতলা একটি বাড়ি থেকেমঞ্জু সাহা ওরফে পূর্ণিমা সাহা নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । এরপরতাকে দিনহাটা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । অভিযুক্ত মহিলা নাম পালটেনিজের বোনের বাড়িতে থাকছিলেন বলে অভিযোগ । খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগেগ্রেপ্তার করা হয়েছে মঞ্জু সাহার বোন সরস্বতী ঘোষকে ।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, দিনহাটায়সুবোধ চক্রবর্তী ও আরতী চক্রবর্তী নামে এক দম্পতির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতমঞ্জু সাহা । 2014 সালেরএক রাতে চক্রবর্তী দম্পতিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে পূর্ণিমা পালিয়েগেছিল বলে অভিযোগ । আরতী দেবীর মৃত্যু হলেও সুবোধবাবু বেঁচে যান । এই ঘটনার পরমঞ্জু ওই দম্পতির বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলে দিনহাটা থানার পুলিশ খুনের ঘটনারকিনারা করতে পারেনি । সম্প্রতি দিনহাটার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় যে, অভিযুক্ত পরিচারিকা মঞ্জু সাহা নামপরিবর্তন করে পূর্ণিমা সাহা নামে রায়গঞ্জের চণ্ডীতলায় তার বোন সরস্বতী ঘোষেরবাড়িতে আছে । দিনহাটা থানার পুলিশ দ্বারস্থ হয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশের কাছে । এরপররায়গঞ্জ থানা অভিযান চালিয়ে মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে । বুধবার দিনহাটা পুলিশেরহাতে তুলে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের ।
রায়গঞ্জেরপুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপম সিং বলেন, "দিনহাটা পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়েরায়গঞ্জ থানার IC সুরজথাপা পুলিশ বাহিনী নিয়ে চন্ডীতলায় তল্লাশি চালান । সেখানকার বাসিন্দা সরস্বতীঘোষের বাড়ি থেকে মঞ্জু সাহা ওরফে পূর্ণিমাকে গ্রেপ্তার করে । তার বোন সরস্বতীঘোষকে এক অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । অভিযুক্ত পরিচারিকা মঞ্জু সাহা খুনেরঘটনা স্বীকার করেছেন । আজ ধৃতদের দুজনকে দিনহাটা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।