ETV Bharat / state

CID-র হাত থেকে বাঁচতে দুর্গাপুরে পালিয়েছিল মাবুদ

হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত মাবুদ আলিকে দুর্গাপুর থেকে গ্রেপ্তার করে CID ৷ তারপর একের পর এক জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷

cid
দুর্গাপুরে পালিয়ে গিয়েছিল মা'বুদ
author img

By

Published : Aug 12, 2020, 10:29 PM IST

রায়গঞ্জ, 12 অগাস্ট : নিলয় এবং মাবুদকে CID খুঁজছে। বিষয়টি জানতে পারার পরই মালদার কালিয়াচক থেকে সোজা দুর্গাপুরে পালিয়ে গিয়েছিল হেমতাবাদের বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত মাবুদ আলি। সেখানে বন্ধুর ভাড়াবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সে। প্রথমদিকে বন্ধু তাকে আশ্রয় দিতে না চাইলেও পরবর্তীকালে আত্মহত্যা করার কথা বলায় সেই বন্ধু তাকে গা ঢাকা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল । যদিও ভাড়াবাড়ির মালিক মাবুদের নানান গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করায় পরবর্তীকালে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। CID জেরায় একের পর এক এই ধরনের তথ্য দিয়েছে মাবুদ আলি। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে CID।

হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যু হয়েছিল 13 জুলাই। সেদিনই রাজ্য সরকারের তরফে তদন্তভার CID-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল । বিষয়টি অজানা ছিল না মাবুদ আলির। 14 জুলাই রাতেই নীলয় সিনহাকে মালদা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ এবং CID। তবে গ্রেপ্তারির অনেক আগেই মাবুদ মালদা ছেড়ে সুদূর দুর্গাপুরে পালিয়ে গিয়েছিল। ফোন করে তার সেখানে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনা বলাতে আঁতকে উঠেছিল বন্ধু। সে প্রথমে কিছুতেই মাবুদকে থাকতে দিতে রাজি হয়নি । তবে মাবুদ তাকে বলে, যদি সে তাকে আশ্রয় না দেয় তবে বাড়ির বাইরেই আত্মহত্যা করবে। একথা শুনে খানিকটা মন গলে গিয়েছিল বন্ধুর। তারপর সে তার ভাড়াবাড়িতে মাবুদকে থাকতে দেয়।

বন্ধু কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকায় ভাড়াবাড়িতে একাই থাকত মাবুদ । তবে ভাড়াবাড়িতে ঘর বন্ধ করে লাগাতার একজন মানুষ রয়েছে। কোনওভাবেই সে বাইরে বের হচ্ছে না, বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয়েছিল বাড়িওয়ালার। টেলিফোনে কলকাতার বন্ধুকে মাবুদের এই আচরণের কথা জানান বাড়িওয়ালা । বন্ধু সেই সময় সমস্ত বিষয় খুলে না বললেও, বন্ধুর আচরণ যদি বাড়িওয়ালা সন্দেহজনক মনে করেন তবে তিনি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন। বাড়িওয়ালা মাবুদকে পরের দিনই বাড়ি থেকে বের করে দেন । প্রায় 15 দিন থাকার পর সে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আর কোনও রাস্তা না পেয়ে সোজা কালিয়াচকে ফিরে আসে। তবে, ইতিমধ্যে পুলিশ তার পিছু নিয়েছিল। অনেক কষ্টে কালিয়াচকের গ্রামীণ এলাকায় শ্যালিকার বাড়িতে আশ্রয় নেয় সে।

দুর্গাপুরে পালিয়ে গিয়েছিল মা'বুদ

CID জানতে পেরেছে, ফিনান্স কম্পানি থেকে ধার করে একটি চারচাকা গাড়ি কিনেছিল সে। 2017 সালে কিনলেও ওই গাড়ির নম্বর তৈরি করেনি মাবুদ । চাঁচল এলাকার পুলিশ তার পিছু নিয়েছে বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরে ওই নম্বরহীন গাড়ি নিয়ে পালাতে যায় মাবুদ। তার পিছু নিয়েছিল চাঁচল থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। গাড়ি নিয়ে জনবহুল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ইচ্ছা করে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে সে । পুলিশ কোনওভাবেই আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা না করিয়ে ছাড়তে পারবে না। এই বিষয়টি জানা ছিল মাবুদের । যথারীতি পুলিশ ওই আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য গাড়িতে তোলার জন্য যে সময়টা নিয়েছে তার মাঝেই সে একটি ফাঁকা জায়গায় নিজের চারচাকা গাড়ি রেখে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল সেখান থেকে ।

যে বন্ধুর বাড়িতে সে গিয়েছিল তাকে ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর থেকে ডেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CID। জেরায় সমস্তটাই স্বীকার করেছে ওই বন্ধু। সে CID আধিকারিকদের আরও জানিয়েছে, বন্ধু মিষ্টি কথা বলে লোকের মন জয় করতে খুব ভালো পারে। কালিয়াচক চাঁচল এলাকায় বহু মানুষের থেকে টাকা পয়সা নিয়ে আর ফেরত দেয়নি মাবুদ। মিষ্টি কথায় মন ভুলানো তার পুরানো স্বভাব বলে CID সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও দেবেন্দ্রনাথবাবুর কাছ থেকে সে কত টাকা এখনও পর্যন্ত নিয়েছে তা স্পষ্ট করে CID-র অফিসারদের জানায়নি বলে সূত্রের খবর । সমস্ত বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে CID।

রায়গঞ্জ, 12 অগাস্ট : নিলয় এবং মাবুদকে CID খুঁজছে। বিষয়টি জানতে পারার পরই মালদার কালিয়াচক থেকে সোজা দুর্গাপুরে পালিয়ে গিয়েছিল হেমতাবাদের বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত মাবুদ আলি। সেখানে বন্ধুর ভাড়াবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সে। প্রথমদিকে বন্ধু তাকে আশ্রয় দিতে না চাইলেও পরবর্তীকালে আত্মহত্যা করার কথা বলায় সেই বন্ধু তাকে গা ঢাকা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল । যদিও ভাড়াবাড়ির মালিক মাবুদের নানান গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করায় পরবর্তীকালে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। CID জেরায় একের পর এক এই ধরনের তথ্য দিয়েছে মাবুদ আলি। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে CID।

হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যু হয়েছিল 13 জুলাই। সেদিনই রাজ্য সরকারের তরফে তদন্তভার CID-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল । বিষয়টি অজানা ছিল না মাবুদ আলির। 14 জুলাই রাতেই নীলয় সিনহাকে মালদা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ এবং CID। তবে গ্রেপ্তারির অনেক আগেই মাবুদ মালদা ছেড়ে সুদূর দুর্গাপুরে পালিয়ে গিয়েছিল। ফোন করে তার সেখানে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনা বলাতে আঁতকে উঠেছিল বন্ধু। সে প্রথমে কিছুতেই মাবুদকে থাকতে দিতে রাজি হয়নি । তবে মাবুদ তাকে বলে, যদি সে তাকে আশ্রয় না দেয় তবে বাড়ির বাইরেই আত্মহত্যা করবে। একথা শুনে খানিকটা মন গলে গিয়েছিল বন্ধুর। তারপর সে তার ভাড়াবাড়িতে মাবুদকে থাকতে দেয়।

বন্ধু কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকায় ভাড়াবাড়িতে একাই থাকত মাবুদ । তবে ভাড়াবাড়িতে ঘর বন্ধ করে লাগাতার একজন মানুষ রয়েছে। কোনওভাবেই সে বাইরে বের হচ্ছে না, বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয়েছিল বাড়িওয়ালার। টেলিফোনে কলকাতার বন্ধুকে মাবুদের এই আচরণের কথা জানান বাড়িওয়ালা । বন্ধু সেই সময় সমস্ত বিষয় খুলে না বললেও, বন্ধুর আচরণ যদি বাড়িওয়ালা সন্দেহজনক মনে করেন তবে তিনি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন। বাড়িওয়ালা মাবুদকে পরের দিনই বাড়ি থেকে বের করে দেন । প্রায় 15 দিন থাকার পর সে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আর কোনও রাস্তা না পেয়ে সোজা কালিয়াচকে ফিরে আসে। তবে, ইতিমধ্যে পুলিশ তার পিছু নিয়েছিল। অনেক কষ্টে কালিয়াচকের গ্রামীণ এলাকায় শ্যালিকার বাড়িতে আশ্রয় নেয় সে।

দুর্গাপুরে পালিয়ে গিয়েছিল মা'বুদ

CID জানতে পেরেছে, ফিনান্স কম্পানি থেকে ধার করে একটি চারচাকা গাড়ি কিনেছিল সে। 2017 সালে কিনলেও ওই গাড়ির নম্বর তৈরি করেনি মাবুদ । চাঁচল এলাকার পুলিশ তার পিছু নিয়েছে বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরে ওই নম্বরহীন গাড়ি নিয়ে পালাতে যায় মাবুদ। তার পিছু নিয়েছিল চাঁচল থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। গাড়ি নিয়ে জনবহুল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ইচ্ছা করে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে সে । পুলিশ কোনওভাবেই আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা না করিয়ে ছাড়তে পারবে না। এই বিষয়টি জানা ছিল মাবুদের । যথারীতি পুলিশ ওই আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য গাড়িতে তোলার জন্য যে সময়টা নিয়েছে তার মাঝেই সে একটি ফাঁকা জায়গায় নিজের চারচাকা গাড়ি রেখে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল সেখান থেকে ।

যে বন্ধুর বাড়িতে সে গিয়েছিল তাকে ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর থেকে ডেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CID। জেরায় সমস্তটাই স্বীকার করেছে ওই বন্ধু। সে CID আধিকারিকদের আরও জানিয়েছে, বন্ধু মিষ্টি কথা বলে লোকের মন জয় করতে খুব ভালো পারে। কালিয়াচক চাঁচল এলাকায় বহু মানুষের থেকে টাকা পয়সা নিয়ে আর ফেরত দেয়নি মাবুদ। মিষ্টি কথায় মন ভুলানো তার পুরানো স্বভাব বলে CID সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও দেবেন্দ্রনাথবাবুর কাছ থেকে সে কত টাকা এখনও পর্যন্ত নিয়েছে তা স্পষ্ট করে CID-র অফিসারদের জানায়নি বলে সূত্রের খবর । সমস্ত বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে CID।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.