রায়গঞ্জ, 13 আগস্ট : হেমতাবাদের BJP বিধায়কের পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধারের দাবি করেছিল পুলিশ৷ পুলিশ আরও দাবি করেছিল, তাতে মাবুদ আলি ও নিলয় সিনহার নাম লেখা আছে। পরবর্তীকালে পুলিশি তদন্তে জানা যায়, বড় অঙ্কের লেনদেন হয়েছিল মাবুদ, নিলয় ও বিধায়কের মধ্যে । তদন্তের ভার CID নেওয়ার পর গ্রেপ্তার হয়েছে মাবুদ আলি এবং নিলয় সিনহা । নিলয় টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল মাবুদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে CID জেরায় মাবুদ 20 লাখ টাকা নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে ৷ যদিও তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, 20 লাখ টাকা তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি দেওয়া হলেও বেশ কিছু টাকা নগদে নিয়েছিল মাবুদ ।
হেমতাবাদ বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই নানাভাবে মাবুদ এবং নিলয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক লেনদেনের কথা সামনে আসছিল। এমনকী ওই ব্যবসায়িক লেনদেনের কারণেই বিধায়ককে খুন করা হয়েছে বলে দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহলে৷ CID তদন্তভার নেওয়ার পর ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ব্যবসায়িক লেনদেন এবং টাকা-পয়সা হস্তান্তরের বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার হয়েছে বলে সূত্রের খবর । এক্ষেত্রে মাবুদ নিলয়ের তুলনায় বিধায়কের কাছ থেকে অনেক বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে তদন্তকারীদের একাংশ জানতে পেরেছে। ইতিমধ্যে তাকে দশদিনের জন্য CID হেপাজতে নেওয়া হয়েছে ৷ লাগাতার জেরা চলছে । তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, বিভ্রান্ত করার জন্য নানা সময়ে নিজের বক্তব্য পালটাচ্ছে সে। তবে মাবুদ স্বীকার করেছে তার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তার স্ত্রীর আরও একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিধায়কের থেকে ধার নিয়েছিল সে । যদিও তা ব্যবসায়িক সম্পর্কে নিয়েছিল ।
একসময় প্রচুর টাকার লেনদেনের কথা উঠলেও এখনও পর্যন্ত মাবুদ 20 লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে CID সূত্রে জানা যাচ্ছে । যদিও আরও বেশি টাকার লেনদেন হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে বিধায়কের শুভানুধ্যায়ীরা। সে কথা মাথায় রেখে CID কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সামনে বসিয়ে মাবুদ আলিকে জেরা করবে বলে জানা গিয়েছে ।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে মাবুদ আলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে CID । লেনদেনের হিসাব চেয়ে পাঠানো হয়েছে।