রায়গঞ্জ, 16 অক্টোবর : আবার এল পুজো রায়গঞ্জের খাদিমপুরে ৷ আনন্দের বন্যা গ্রামজুড়ে ৷ দশমীতে একদিকে যখন সারা বাংলা জুড়ে দশভুজার বিদায়ে বিষাদের ছায়া ঠিক উল্টো ছবি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহর থেকে অনতিদূরেই খাদিমপুর গ্রামে। কারণ দশমীতে এখানে মায়ের বিসর্জন নয়, হয় আবাহন ৷ দেবী দুর্গা এখানে পূজিত হন অন্য রূপে ৷ দেবী দুর্গাকে বালাইচণ্ডী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে এখানে। দেবী এখানে দশভুজার বদলে চতুর্ভুজা। চার হাতেই দেবীর অস্ত্র থাকলেও দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই।
রায়গঞ্জ থানার 14 নম্বর কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে শারদীয়া পুজোর আনন্দে ৷ তবে এখানে দেবী দুর্গাকে বালাইচণ্ডী রূপে পুজা করা হয়ে থাকে। এখানে দেবী দশভুজার বদলে চতুর্ভুজা ৷ চার হাতেই দেবীর অস্ত্র থাকলেও এখানে দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর। তবে অন্যান্য দুর্গামণ্ডপের মতো এখানেও দেবী কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী নিয়ে রয়েছেন সপরিবারেই। খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তা সত্যেন্দ্র নাথ বর্মন জানান, কত বছরের পুরানো এই পুজো তা কেউই বলতে পারে না। আনুমানিক পাঁচশো বছর ধরে একই নিয়মে দশমীর দিনেই শুরু হয় বালাইচণ্ডীরূপী দেবী দুর্গার পুজো ৷ দশমীর রাতে শুরু হওয়া পুজো চলে তিনদিন ৷ পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে বসে মেলাও।
আরও পড়ুন : উমার বিসর্জনে সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে বৈশাখী আবাহন শোভনের
বালাইচণ্ডীরূপী দুর্গাপুজোই খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আসল পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা। পুরনো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের এই দুর্গাপুজোয় চলে আসছে বলি প্রথা। বালাইচণ্ডীরূপী দেবী দুর্গাকে খুবই জাগ্রত মানেন এখানকার মানুষ ৷ বহু দূর থেকে দর্শনার্থীরা আসেন খাদিমপুরে। শারদ উৎসবের শেষে সারা বাংলায় যখন বিষাদের সুর, আর তখনই আগমনীর আগমনে আনন্দে মেতে উঠেছে রায়গঞ্জ শহর থেকে 13 কিলোমিটার দূরের এই গ্রাম ৷